ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আপিল বিভাগে তিন বিচারপতি নিয়োগ

স্পেশাল ও সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৬
আপিল বিভাগে তিন বিচারপতি নিয়োগ

ঢাকা: সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ পেয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতি।

তারা হচ্ছেন- বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।



রাষ্ট্রপতির নির্দেশে আইন মন্ত্রণালয় রোববার (০৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

আইন সচিব আবু সালেহ মো. জহিরুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাব্বির ফয়েজ বাংলানিউজকে জানান,  সোমবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল দশটায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে নবনিযুক্ত বিচারপতিদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।

এ তিনজনকে নিয়োগের পর আপিল বিভাগে মোট বিচারকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট নয়জন।

বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার
১৯৫৪ সালের ০১ মার্চ জন্ম নেওয়া এ বিচারপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে এলএলবি এবং এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৮১ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৯ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।

২০০১ সালের ০৩ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত এবং ২০০৩ সালের ০৩ জুলাই স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান মির্জা হোসেইন হায়দার।
 
বিচারপতি নিজামুল হক
১৯৫০ সালের ১৫ মার্চ জন্ম নেওয়া এ বিচারপতি বিএসসি এবং এমএসসি ডিগ্রি অর্জনের পর এলএলবি ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর ১৯৭৯ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৯ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।

২০০১ সালের ০৩ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। কিন্ত দুই বছর পর তাকে আর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

এরপর ২০০৯ সালের ২৫ মার্চ হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এর এক বছর পর ২০১০ সালের ২৫ মার্চ তাকে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গড়ে ওঠা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার।  

২০১২ সালের ১১ ডিসেম্বর স্কাইপিতে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথপোকথন প্রকাশের পর তিনি  পদত্যাগ করে আবার হাইকোর্টে ফিরে আসেন।

বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান
১৯৫৫ সালের ১২ এপ্রিল বিচারপতি বজলুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এ ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।

২০০১ সালের ০৩ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। কিন্ত দুই বছর পর তাকে আর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এরপর ২০০৯ সালের ১০ মে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৬
এসএমএ/ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।