ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাকায় একবছর, ফেসবুকে বার্নিকাটের চ্যাটিং টাইম

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৬
ঢাকায় একবছর, ফেসবুকে বার্নিকাটের চ্যাটিং টাইম

ঢাকা: বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পদে দায়িত্ব পালনে গত ২৫ জানুয়ারি একবছর পূর্ণ করেছেন মার্শা ব্লুম বার্নিকাট। এ উপলক্ষে রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) দূতাবাসের ফেসবুক পেজে বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে একবছরের অভিজ্ঞতা-অনুভূতি ভাগাভাগির ইচ্ছে প্রকাশ করেন তিনি।

এজন্য আড়াইটা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ফেসবুকে ‘অ্যাম্বাসেডর’স চ্যাট’ শীর্ষক স্ট্যাটাসে আগ্রহীদের প্রশ্ন করতে বলা হয়। স্ট্যাটাসে মন্তব্য আকারে জমা হওয়া বিভিন্ন রকমের প্রশ্নের উত্তর বার্নিকাট দিতে থাকেন আড়াইটা থেকেই।

সেসব উত্তরে বাংলাদেশের মানুষ, এখানকার খাবারের স্বাদ, পরিবেশ ইত্যাদি নিয়ে বার্নিকাটের উচ্ছ্বাস-আনন্দের কথা উঠে আসে। আসে ‍যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের অবাধ বাজারসুবিধার (জিএসপি) সম্ভাবনা-বাধার কথাও।

বাংলাদেশে দায়িত্বপ্রাপ্তি ও এখানকার মানুষের আতিথেয়তায় মুগ্ধতা প্রকাশ করে বার্নিকাট প্রথমেই বলেন, এখানকার অতিথিপরায়ণ মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ আমাকে আনন্দিত করে, যেন এ দেশের সৌন্দর্য আমাকে আরও ছুঁয়ে যায়। ভার্চুয়ালি বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে সবকিছু আলোচনা-পরামর্শ করে সেটা আমার দারুণ লাগে।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্য-সংস্কৃতির পার্থক্য তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন, পহেলা বৈশাখ ও ক্রিস্টমাস উদযাপনের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এ দেশের উদযাপনে সত্যিই বিশেষ কিছু রয়েছে।

বার্নিকাট জানান, তিনি বাংলাদেশের সবরকমের খাবারই দারুণ উপভোগ করেন। একইসঙ্গে তার আগের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনার মতো বাংলাদেশের সর্বত্র ঘুরে বেড়ানোর আগ্রহও প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশের পোশাক শিল্প ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে এবং সেজন্য পোশাক কারখানাগুলোতে যে সংস্কার কাজ চলছে সে বিষয়ে বার্নিকাট বলেন, সংস্কার কাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছে এমন কিছু কারখানা আমি পরিদর্শন করেছি। যারা এক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের আমি সাধুবাদ জানিয়েছি। তবে, আরও অনেক কাজ বাকি। যেমন সম্প্রতি ম্যাট্রিক্স সোয়েটার ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকাণ্ডের কথা উল্লেখ করা যায়।

বাংলাদেশের জিএসপি ফিরে পাওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বলেন, এ দেশে শ্রমিকদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে এখন অনেকেই কাজ করছে। এখানে যে অবস্থা ছিল, তার কিছুটা উন্নতিও হয়েছে। পোশাক কারখানাগুলোতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত যেসব সমস্যা ছিল তা কাটানোর লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রও কাজ করছে। এক্ষেত্রে উন্নতি হলে তার সুফল ভোগ করবে বাংলাদেশেরই শ্রমিক এবং তাদের স্বত্ত্বাধিকারীরা।

বার্নিকাট স্পষ্ট করে বলেন, জিএসপি ফিরে পাওয়া নির্ভর করছে সরকারকে বেঁধে দেওয়া অ্যাকশন প্ল্যান তারা কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পারছে সেটার ওপর। জিএসপি সুবিধা ভোগের প্রধান শর্ত হলো শ্রমিকদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে পদক্ষেপ গ্রহণ। কর্তৃপক্ষ এই শর্ত পূরণ করতে পারলেই সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাবে।

ঢাকা দূতাবাসে এক বছর পূরণে বার্নিকাটকে স্ট্যাটাসের মন্তব্যে উষ্ণ অভিনন্দন জানান দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। উত্তরে কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৬
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।