ঢাকা: হিন্দু সনাতনী আইনে হস্তক্ষেপ চলবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহিলা মহাজোট।
রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ছোট মিলনায়তনে এক সাংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দিয়ে তিন দফা দাবি জানানো হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে।
সংগঠনের সভাপতি ড. সোনালী দাস লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিবাহ যদি বৈধভাবে না হয়, স্বামী যদি চরিত্রহীন অথবা বহুদিন বিদেশে থাকেন, রাজদ্রোহী বা স্ত্রীর জন্য বিপজ্জনক হন, সেক্ষেত্রে স্ত্রী তার স্বামীকে পরিত্যাগ করতে পারবেন। এ বিধান শাস্ত্রে ও আইনে আছে।
হিন্দু বিবাহ বিচ্ছেদ আইনের কোনো প্রয়োজন নেই বলে এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।
‘হিন্দু পরিবার ব্যবস্থায় স্ত্রী ও শিশুর জীবন খুব নিরাপদ। স্বামীর থেকে আলাদা বসবাস করলেও আজীবন ভরণপোষন পাওয়ার অধিকার রাখেন স্ত্রীরা। ’
এ প্রসঙ্গে জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক জানান, কোনো দম্পতির বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও স্ত্রীকে আলাদা বাসা ভাড়া করে ভরণপোষন দিতে বাধ্য থাকেন স্বামী।
স্বামী চাকরিজীবী হলে তার বেতনের অর্ধেক টাকা স্ত্রীকে দিতে হয়, যা হিন্দু বিবাহ আইনে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনটি দাবিতে বলা হয়েছে, এনজিগুলোকে পরিবার, সমাজ ও ধর্মবিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে আইন পাশ করতে হবে। হিন্দু শাস্ত্রবিরোধী তালাক ব্যবস্থা কোনোভাবেই হিন্দু আইনে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। এবং আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সরকারকে এসব বিষয়ে সুস্পষ্ট ঘোষনা দিতে হবে।
দাবিগুলো না মানলে ও ডেডলাইনের মধ্যে সরকারের ঘোষণা না আসলে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচিরও ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহিলা মহাজোট।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট প্রতিভা বাগচী ও নির্বাহী সভাপতি প্রীতিলতা বিশ্বাস।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৬
এফবি/আরএইচ