ঢাকা: বিজনেস বুট ক্যাম্প জিপি অ্যাকসেলেরেটরের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য প্রথম ব্যাচের স্টার্টসআপদের আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেছে গ্রামীণফোন।
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় জিপি হাউজে রোববার (০৭ ফেব্রুয়ারি) গ্রামীণফোনের সিইও রাজিব শেঠি, চিফ স্ট্র্যাটেজি অফিসার এরলেন্ড প্রেস্টগার্ড এবং এসডি-এশিয়ার সহ প্রতিষ্ঠাতা সামাদ মিরালী শতাধিক গ্রামীণফোন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে স্টার্টসআপদের সাদরে গ্রহণ করে নেন।
দেশের শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন চার মাসব্যাপী এ প্রশিক্ষণ প্রদান করবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে গ্রামীণফোন।
গ্রামীণফোন পাঁচটি স্টার্টআপসের সমন্বয়ে গঠিত প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষিত উদ্যোক্তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ১০ লাখ টাকা প্রদান ছাড়াও জিপি হাউজ কার্যালয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, বড় ব্যবসায়িক ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করবে।
প্রশিক্ষণ শেষে স্টার্টআপসরা নিজেদের পণ্য ও সেবা মে মাসে অনুষ্ঠিতব্য ‘ডেমো ডে’-তে প্রদর্শনের সুযোগ পাবেন।
গ্রামীণফোনের সিইও রাজীব শেঠি অনুষ্ঠানে বলেন, স্টার্টআপসদের পেয়ে তিনি অনেক উচ্ছ্বসিত। কারণ, এটি কোম্পানি এবং দেশের র্স্টাটআপ ইকোসিস্টেমের জন্য এক নতুন সূচনা।
গ্রামীণফোন গত বছরের অক্টোবরে এসডি এশিয়ার সহযোগিতায় বাংলাদেশের পাঁচটি প্রতিভাবান র্স্টাটআপ খুঁজে বের করার জন্য ‘জিপি অ্যাকসেলেরেটর’ চালু করে। কঠোর বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শত শত আবেদনের মধ্য থেকে পাঁচটি র্স্টার্টআপকে বাছাই করা হয়।
কন্টেন্ট এবং ইভেন্ট প্ল্যাটফর্ম ভিত্তিক ইকোসিস্টেম প্রতিষ্ঠান এসডি এশিয়া উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক দিক থেকে অগ্রসর করানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
গ্রামীণফোনের চীফ স্ট্র্যাটেজিক অফিসার এরলেন্ড প্রেস্টগার্ড বলেন, ‘আমি মনে করি, সেরা পাঁচ স্টার্টআপস নির্বাচন করার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের কর্মসূচির শুভ সূচনা করেছি। শুরুতে এ ধরনের কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে গ্রামীণফোনের মতো প্রতিষ্ঠানেরও সংশয় ছিলো। তবে এখন আর কোনো সংশয় নেই’।
‘আমরা এখন আর সর্ববৃহৎ অপারেটর হিসেবে পরিচিত না হয়ে তথ্য-প্রযুক্তির হাত ধরে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে মিলে কাজ করে যাবো। আর এসডি-এশিয়ার সঙ্গে মিলে ‘জিপি জিপি অ্যাকসেলেরেটর’ কর্মসূচি একটি যথার্থ পদক্ষেপ। আমরা আমাদেরকে ভবিষ্যৎ স্টার্টআপসদের সহায়তায় ইকো-সিস্টেমের অংশ হিসেবে দেখতে পাচ্ছি’।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থানীয় ডেভেলপার এবং সৃষ্টিশীল উদ্যোক্তাদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে গ্রামীণফোন। ‘ইন্টারনেট ফর অল’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিলে কাজ করছে। আইসিটি খাতকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সহায়তা করাই ‘জিপি অ্যাকসেলেরেটর’ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য।
চলতি মাস থেকে শুরু হতে যাওয়া ‘জিপি অ্যাকসেলেরেটর’ কর্মসূচিতে নির্বাচিত সেরা পাঁচ স্টার্টআপসগুলোর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
ইনোভিশন
এটি একটি ওয়েব ডিজাইনভিত্তিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। ওয়েব ডিজাইন করে ওয়ান-স্টপ সল্যুশনের মাধ্যমে যেকোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে অনলাইনে কার্যকর রাখা ইনোভিশনের উল্লেখযোগ্য একটি সেবা। বাংলাদেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর গতানুগতিক ওয়েব ডিজাইনের পরিবর্তে ব্যবহারবান্ধব ও দৃষ্টিনন্দন ওয়েব ডিজাইন করে বেশি কার্যকর করাই ইনোভিশনের মূল লক্ষ্য। এতে করে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক বেশি আকর্ষণীয়ভাবে তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করতে পারে।
ক্যান্ডি
মোবাইল অ্যাডভারটাইজিং অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে কাজ করে ক্যান্ডি। মোবাইলে ইউজার লক স্ক্রিন, টাইম সেভিং টুলসসহ লক স্ক্রিনকে কীভাবে আরও ব্যবহার উপযোগী করা যায়, সে বিষয়গুলো ইন্টেলিজেন্ট পার্সোনালাইজেশন অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে করে থাকে ক্যান্ডি।
শেয়ার
কারপুলিং অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে ‘জিপি অ্যাকসেলেরেটর’-এ নির্বাচিত হয়েছে শেয়ার ইনকর্পোরেশন। ঢাকা শহরে গাড়িতে চলাফেরা করা নিত্য-নৈমিত্তিক একটি ঘটনা। সিএনজিতে চলতে মিটার অনুযায়ী ভাড়া প্রদান করার ক্ষেত্রে কারপুলিং এমনই একটি অ্যাপ্লিকেশন। মিটার নষ্ট থাকলেও এ অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে যাত্রীর ভাড়া নির্ধারণ করা যায়।
সেবা
বাসার দৈনন্দিন কাজের সহায়তার জন্য সেবামূলক প্ল্যাটফর্ম নিয়ে সেবা ‘জিপি অ্যাকসেলেরেটর’-এ নির্বাচিত হয়েছে। প্রশিক্ষিত জনবল দিয়ে বাসার কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করাই সেবার কাজ।
রেপ্টো
অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স পরিচালনা করার টুলস নিয়ে কাজ করে রেপ্টো। রেপ্টোর ওয়েবসাইটে অসংখ্য কোর্স রয়েছে। যে কেউ টাকার বিনিময়ে কিংবা বিনামূল্যে রেপ্টোর প্ল্যাটফর্ম থেকে কোর্সগুলো করতে পারবেন।
ক্যান্ডি’র সিইও বলেন, ‘জিপি অ্যাকসেলেরেটর’- এর মতো প্রোগ্রাম দেশে এটিই প্রথম। এছাড়া উদ্যোক্তাদের অনুপ্রেরণা যোগাতে এ ধরনের কর্মসূচি অন্যতম ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৬
এমআইএইচ/এএসআর
.jpg)
.jpg)
