ঢাকা: রাজধানীর শাহ আলী থানা এলাকায় পুলিশের লাঠির আঘাতে স্টোভের আগুন ছড়িয়ে চা দোকানি বাবুল মাতুব্বর দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় পুলিশি তদন্তে ওই থানার ৪ পুলিশ সদস্য জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে।
রোববার (০৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সদর দফতরের প্রতিবেদনটি জমা দেয় তদন্ত কমিটি।
ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে প্রতিবেদনটি জমা দেন এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রধান ডিএমপির উপ-কমিশনার (শৃঙ্খলা) টুটুল চক্রবর্তী।
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ডিসি) এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী ওই অপরাধে সঙ্গে ৪ পুলিশ সদস্যের সংশ্লিষ্ট থাকার সত্যতা পাওয়া গেছে।
তারা হলেন- শাহ আলী থানার এসআই মমিনুর রহমান, এসআই নিয়াজ উদ্দীন মোল্লা, এএসআই দেবেন্দ্র নাথ ও কনস্টেবল জসিম উদ্দীন।
ওই ঘটনায় প্রত্যাহার করা আরেক পুলিশ সদস্য এসআই শ্রীধাম চক্রবর্তী জড়িত নন বলে রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে।
গত বুধবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মিরপুরের শাহ আলী থানা এলাকায় পুলিশের লাঠির আঘাতে স্টোভের আগুন ছড়িয়ে দগ্ধ হন চা দোকানি বাবুল মাতুব্বর।
পর দিন বৃহস্পতিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বাবুল।
এ ঘটনায় ওই রাতে'ই পুলিশের পাঁচ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তারা হলেন- শাহ আলী থানার এসআই মমিনুর রহমান, এসআই নিয়াজ উদ্দীন মোল্লা, এসআই শ্রীধাম চক্রবর্তী, এএসআই দেবেন্দ্র নাথ ও কনস্টেবল জসিম উদ্দীন।
এরপর শনিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শাহীন মণ্ডলকে প্রত্যাহার করে রাজারবাগে সংযুক্ত করা হয়।
চা-বিক্রেতা বাবুলের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে ডিএমপি’র পাশাপাশি পুলিশের মিরপুর ডিভিশনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মাসুদ আহমেদকে প্রধান করে দুই সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়।
সংশ্লিষ্টদের শাস্তির বিষয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, তাদের বিষয়ে বিভাগীয় শাস্তির ব্যবস্থার পাশাপাশি অপরাধের মাত্রা বিবেচনায় প্রয়োজনে ফৌজদারি আইনে বিচারের সম্মুখীন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৬
এনএইচএফ/এএসআর