ঢাকা: নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাবেদ আলী বলেছেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। তবে আচরণ বিধিমালার গেজেট দুয়েকদিনের মধ্যে চূড়ান্ত করা গেলে চলতি সপ্তাহের শেষেই সময়সূচি দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ইসি সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এসব তথ্য জানান তিনি।
জাবেদ আলী বলেন, আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিং (অনুমোদন) এর জন্য নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা পাঠানো হয়েছে। আগামী দুয়েকদিনের মধ্যে অনুমোদন পাওয়া গেলে আমরা তা গেজেট আকারে প্রকাশ করবো। সে মোতাবেক চলতি সপ্তাহের শেষ দিন তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
এক্ষেত্রে ৪০ দিন হাতে সময় রাখার পক্ষে এই কমিশনার। তিনি বলেন, ভোটের প্রস্তুতির জন্য তফসিলের পর ৪০ দিন সময় দরকার। সে হিসেবে মার্চের ২০ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যেই নির্বাচন হতে পারে।
তিনি বলেন, এখন এসএসসি পরীক্ষা চলছে। মার্চে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা হবে। এরপর এপ্রিলে আবার এইচএসসি পরীক্ষা। তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে একটা গ্যাপ খুঁজে নির্বাচন করবো। এক্ষেত্রে মার্চের শেষ সপ্তাহের দিকেই ভোটগ্রহণ শুরু হবে। ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। রোববারও বৈঠক হয়েছে। শিক্ষা সচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাই আমরা চাই যত কম সময়ে নির্বাচনটা শেষ করা যায়।
পৌরসভা নির্বাচনের মতো এমপি-মন্ত্রীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ন্ত্রণহীন হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জাবেদ আলী বলেন, পৌরসভায় আমরা আইন ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। এক্ষেত্রে তাদের শো-কজ (কারণ দর্শানোর নোটিশ) করা হয়েছে। কেননা, না শুনে কারোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। তাই তাদের বক্তব্য শুনেছি, তারা ক্ষমাও চেয়েছেন। বিষয়গুলো আমরা প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছি। ইউপি নির্বাচনেও যার যেখানে যাওয়ার কথা নয়, সেখানে যাবেন না। তবে কেউ যুক্তিসঙ্গত কারণে গেলে সমস্যা নেই। এক্ষেত্রে কারো বাবা-মা অসুস্থ হতে পারেন বা আত্মীয়ের জানাজায় যেতে হতে পারে। তাই নির্বাচনী এলাকায় তাদের যাওয়ার বিষয়ে যুক্তিযুক্ত কারণ থাকতে হবে।
নির্বাচনী প্রচারণার বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনী আচরণ বিধিতে প্রচারণার ক্ষেত্রে এমপি-মন্ত্রীদের জন্য যে নিষেধাজ্ঞা থাকবে, তারা তা মেনে চলবেন। এমপিরা আচরণ বিধি অনুযায়ী যেখানে যেতে পারেন না, সেখানে যাবেন না। আইনে প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষের অন্য কোনো ব্যক্তি বিধি লঙ্ঘন করলে দণ্ড দেওয়ারও বিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা দণ্ড দিতে পারবেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৬ থেকে ৭ দফায় নির্বাচন শেষ করতে হবে। কেননা, ৪ হাজার ২৭৯টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। এতোগুলো স্থানীয় সরকারে একসঙ্গে নির্বাচন করা অসম্ভব।
জাবেদ আলী বলেন, পৌরসভা নির্বাচনে যেসব জায়গায় ঘাটতি ছিল, এবার তা কমানোর চেষ্টা করবো। প্রচুর পরিমাণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োগ করেই আমরা অগ্রসর হবো, যেন কেউ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৬
ইইউডি/আরএইচ