ঢাকা: সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগপ্রাপ্ত তিন বিচারপতির শপথ সোমবার (০৮ ফেব্রুয়ারি)। সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের জাজেজ লাউঞ্জে সকাল দশটায় শপথ অনুষ্ঠান শুরু হবে।
সুপ্রিম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন জানান, ৮ ফেব্রুয়ারি সকাল দশটায় নবনিযুক্ত বিচারপতিগণের শপথ পাঠ করাবেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা(এস কে সিনহা)।
সংবিধানের ৯৫ (১) ধারার ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমানকে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে রোববার (০৭ ফেব্রুয়ারি) নিয়োগ দেন। এ বিষয়ে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে।
এ তিনজনকে নিয়োগের পর আপিল বিভাগে মোট বিচারকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট নয়জন।
বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার
১৯৫৪ সালের ০১ মার্চ জন্ম নেওয়া এ বিচারপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে এলএলবি এবং এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৮১ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৯ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
২০০১ সালের ০৩ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত এবং ২০০৩ সালের ০৩ জুলাই স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান মির্জা হোসেইন হায়দার।
বিচারপতি নিজামুল হক
১৯৫০ সালের ১৫ মার্চ জন্ম নেওয়া এ বিচারপতি বিএসসি এবং এমএসসি ডিগ্রি অর্জনের পর এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৭৯ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৯ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
২০০১ সালের ০৩ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। কিন্ত দুই বছর পর তাকে আর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
এরপর ২০০৯ সালের ২৫ মার্চ হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এর এক বছর পর ২০১০ সালের ২৫ মার্চ তাকে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গড়ে ওঠা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার।
২০১২ সালের ১১ ডিসেম্বর স্কাইপিতে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথপোকথন প্রকাশের পর তিনি পদত্যাগ করে আবার হাইকোর্টে ফিরে আসেন।
বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান
১৯৫৫ সালের ১২ এপ্রিল বিচারপতি বজলুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এ ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
২০০১ সালের ০৩ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। কিন্ত দুই বছর পর তাকে আর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এরপর ২০০৯ সালের ১০ মে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৬
ইএস/এএসআর/