ঢাকা: ঢাকার কেরাণীগঞ্জে শিশু আবদুল্লাহ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মোতাহার হোসেন র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। মোতাহার আবদুল্লাহকে অপহরণ করে হত্যা ও এসিড দিয়ে ঝলসে দেওয়ার মূল অভিযুক্ত, পরিকল্পনা ও হত্যাকারী।
সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর সোয়া ৪টায় চিটাখোলা এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।
র্যাব-১০ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) মো. জাহাঙ্গির হোসেন মাতুব্বর বাংলানিউজকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ভোররাত সোয়া ৪টায় চিতাখোলা এলাকা দিয়ে বেপরোয়া গতিতে দু’টি মোটরসাইকেল র্যাবের নিয়মিত টিমকে অতিক্রম করে যাচ্ছিলো। ওই মোটরসাইকেল দু’টিতে ২ জন করে ৪ জন ছিলেন। এ সময় র্যাব-১০ এর টহল টিম সন্দেহবশত তাদের থামতে সংকেত দেয়। কিন্তু তারা সংকেত অমান্য করে র্যাবের টহল টিমকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এক পর্যায়ে র্যাব সদস্যরা নিজেদের জীবন ও সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে পাল্টাগুলি চালায়।
জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর আরো বলেন, গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে একটি মোটরসাইকেল দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। অপর মোটরসাইকেলটি র্যাবের টহল গাড়ি অতিক্রম করে কিছু দূর সামনে গিয়ে পড়ে যায়। র্যাব সদস্যরা মোটরসাইকেলের কাছে পৌঁছে একজন আরোহীকে গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকতে দেখে। পরে ওই ব্যক্তির প্যান্টের পকেটে থাকা জাতীয় পরচিয় পত্র দেখে জানতে পারে, তিনি শিশু আব্দুল্লাহ হত্যা মামলার আসামি মোতাহার। পরে র্যাব সদস্যরা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন, ১ রাউন্ড গুলি, ১টি গুলির খোসা ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে র্যাব।
চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি দুপুরে কেরাণীগঞ্জের রুহিতপুর ইউনিয়নের মুগারচর গ্রামের পশ্চিম মুগারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র আব্দুল্লাহ (১১) নিখোঁজ হয়।
এরপর অপহরণকারীরা তার পরিবারকে ফোন করে দুই দফায় ২ লাখ টাকা আদায় করে। কিন্তু শিশুটিকে ফেরত দেয়নি তারা। গত ২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে আব্দুল্লাহ’র বাড়ির কাছে মোতাহার হোসেনের বাড়ির একটি রুম থেকে প্লাস্টিকের ড্রামে এসিডে ডোবানো অবস্থায় আব্দুল্লাহর গলিত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৬/আপডেট: ১০১১ ঘণ্টা
এনএইচএফ/এসজেএ/এসএস/আরএম