ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সমঝোতা স্মারকের খসড়া অনুমোদন

তিন বছরে মালয়েশিয়ায় যাবেন ১৫ লাখ কর্মী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৬
তিন বছরে মালয়েশিয়ায় যাবেন ১৫ লাখ কর্মী ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: আগামী তিন বছরে ১৫ লাখ কর্মী মালয়েশিয়ায় যাবেন। এক মাসের মধ্যেই চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার পর   এ কার্যক্রম শুরু হবে।

এ লক্ষ্যে মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারকের খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

সকালে সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব বলেন, জিটুজি প্রক্রিয়ায় (সরকার টু সরকার) কর্মীপ্রতি অভিবাসন ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪ থেকে ৩৭ হাজার টাকা। এছাড়া বিমান ভাড়া, ইন্স্যুরেন্স, স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট খরচ বহন করবেন নিয়োগকর্তা (মালয়েশিয়া)। নিয়োগকর্তা কর্মীর (যোগ্যতাভিত্তিক) চাহিদা জানাবে বাংলাদেশ সরকারকে।
 
সরকার বিএমইটি’র তালিকা অনুযায়ী কর্মী বাছাই করবে। এ বাছাই করা তালিকা জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) দেবে বায়রাকে। বায়রা এ ডাটাবেজ থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ভিসা প্রসেসিং, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও বহির্গমন সেবা দেবে।
 
ভিসা প্রসেসিংসহ কর্মীর ডাটাবেজ এবং অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালিত হবে অনলাইনে। কর্মীদের বেতন পরিশোধ করা হবে ব্যাংকের মাধ্যমে।     
 
মালেশিয়ায় কর্মী পাঠানোর এ কার্যক্রম তদারকি করবে মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ। যদি কোনো কারণে এই গ্রুপ ব্যর্থ হয়, তাহলে উভয় দেশের ঊর্ধ্বতন পর্যায় থেকে তা মনিটরিং করা হবে।
 
মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, আগে মালয়েশিয়ায় প্লান্টেশন সেবা কাজে  সুযোগ পেতো বাংলাদেশ। চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার পর প্লান্টেশনসহ উৎপাদন, কনস্ট্রাকশন ও সেবাসহ বিভিন্ন খাতে কাজের সুযোগ পাবে।

আগে মালয়েশিয়ায় পুরুষ কর্মীরাই যেতে পারতেন। এ চুক্তির পর নারী কর্মীরাও যেতে পারবেন।
 
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব বলেন, এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ যোগ্যতাভিত্তিক পছন্দের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
 
এদিকে মন্ত্রিসভায় বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন আইন-২০১৬ এর খসড়া ফেরত দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান,  আইনটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ফেরত পাঠানো হয়। মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে এ খসড়ার যাচাই-বাছাই করা হবে। পরবর্তীতে মন্ত্রিসভায় উঠানো হবে।
 
এছাড়া গত ০৮ ও ০৯ জানুয়ারি কলকাতায় অনুষ্ঠিত বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট, গত ১০ থেকে ১২ জানুয়ারি পার্টনারশিপ সামিটে বাণিজ্যমন্ত্রীর অংশগ্রহণ এবং গত বছরের ১৬ থেকে ১৮ নভেম্বর প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ৩৮তম সাধারণ সভার লিডার্স ফোরামে শিক্ষামন্ত্রীর অংশগ্রহণ সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৬
এসএমএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।