ঢাকা: আপিল বিভাগে তিন বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে প্রতিবাদ জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।
সোমবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সমিতির মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবাদ জানান সমিতির নেতাকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আপিল বিভাগে পাঁচ বিচারপতির পদ শূন্য থাকায় সরকার তিন বিচারপতিকে নিয়োগ দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগের ৩০ জন বিচারপতির মধ্যে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে দু’জন বিচারপতিকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, এ নিয়োগের ক্ষেত্রে যদি কোনো নীতিমালা থাকতো, তাহলে জনমনে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যেতো না। আইনজীবীরাও এক্ষেত্রে স্বস্তি বোধ করতেন।
মাহবুব বলেন, এ বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়নের আগে যদি আর কোনো বিচারপতিকে নিয়োগ করা হয়, তাহলে কঠোর অবস্থানে যাবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।
সমিতির পক্ষ থেকে অবিলম্বে উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে নীতিমালা প্রণয়নের দাবিও জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন, সহ সভাপতি এ এস এম মোক্তার কবির খানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবিধানের ৯৫ (১) ধারার ক্ষমতাবলে রোববার (০৭ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতিকে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। নবনিযুক্ত বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমানকে সোমবার সকাল দশটায় সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের জাজেজ লাউঞ্জে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এস কে সিনহা)।
নতুন তিনজনকে নিয়োগের পর আপিল বিভাগে মোট বিচারকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট নয়জন। তাদেরকে নিয়ে আপিল বিভাগের দুই বেঞ্চ পুনর্গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি।
এদিকে প্রথা অনুসারে নতুন তিনজন বিচারপতিকে সংবর্ধনাও দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। তবে সোমবার বেলা সাড়ে এগারটার পরে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় আয়োজিত সংবর্ধনায় যোগ দিয়ে বক্তব্য দেন সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন। সেখানেও এ নিয়োগের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন ও প্রধান বিচারপতিকে স্বপ্রণোদিত হয়ে বিচারপতি নিয়োগে নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৬
ইএস/আরএইচএস/টিআই/এএসআর