ঢাকা: অবসরের পর তার লেখা পূর্ণাঙ্গ রায় ও আদেশ জমা দিয়েছেন সদ্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।
সোমবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রায়গুলো জমা দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে অনুমতি ছাড়া সংবাদ সম্মেলন করা যাবে না- সকালে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে এমন বক্তব্য আসার পর হাইকোর্টের মাজার গেটের বাইরে থাকা বটগাছের নিচে দাঁড়িয়ে কথা বলেন তিনি।
বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, দুপুর দেড়টায় আমার সিনিয়র নেক্সট বিচারপতি ইমান আলীর সঙ্গে দেখা করেছি। নিয়ম অনুযায়ী ফাইলগুলো তার কাছে যাবে। তার সঙ্গে আমি আলাপ করেছি। তিনি এটা গ্রহণ করবেন। এখনই যাচ্ছি তার কাছে যাওয়ার জন্য।
আপিল বিভাগ থেকে গত বছরের অক্টোবর মাসে অবসরে যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী। এরপর তার হাতে থাকা রায়গুলো আপিল বিভাগ গ্রহণ করছেন না বলে অভিযোগ করে রোববার (০৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি বরাবরে চিঠি দেন।
চিঠি দেওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের পাশে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এরপর সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন একটি ব্যাখ্যা দেন। সে ব্যাখ্যায় সুপ্রিম কোর্ট বলেন, অবসরপ্রাপ্ত এ বিচারপতি রায় জমা দিতে আসেননি।
সোমবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার অফিস থেকে জানানো হয়, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে অনুমতি ছাড়া সংবাদ সম্মেলন করা যাবে না। এরপরই কোর্টের ভেতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বলে কোর্টের বাইরে মাজার গেটে বটগাছের নিচে কথা বলেন তিনি।
এ সময় বিচারপতি শামসুদ্দিন বলেন, ‘বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা গতকাল (রোববার) সন্ধ্যায় রায় গ্রহণ করতে রাজি হয়েছেন। এটা খুশির খবর। আমার হাতে লেখা রায় তারা গ্রহণ করতে রাজি হয়েছেন। এটা যদি প্রধান বিচারপতি না করতেন, তাহলে অনেক আগে রায় লেখা শেষ হয়ে যেতো’।
শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, রায় দিয়েছি, এটা বলিনি। রায় নিতে অনুরোধ করেছি। কিন্তু তিনি (বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব) নিতে অপারগ।
সাংবাদিকদের সঙ্গে রোববারের আলাপের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি গতকাল কেনো সংবাদ সম্মেলন করিনি। প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি দেওয়ার পর সাংবাদিকরা আমার কাছে এসেছেন। তখন আমি বক্তব্য দিয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৬
ইএস/এএসআর