ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফারুক হত্যার দ্রুত বিচার দাবি স্বজন-নেতাকর্মীদের

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৬
ফারুক হত্যার দ্রুত বিচার দাবি স্বজন-নেতাকর্মীদের ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেন হত্যা মামলায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবি জানানো হয়েছে।

সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ফারুকের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আয়োজিত স্মরণসভায় এ দাবি জানানো হয়।



এর আগে ফারুক স্মরণে সকাল আটটায় কালো ব্যাজ ধারণ করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে সাড়ে ১১টায় দলীয় টেন্ট থেকে শোক র‌্যালি বের করে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সেখানে এসে শেষ হয়। এর পর দুপুর সাড়ে ১২টায় সেখানে ফারুক স্মরণে আলোচনা সভা ও কম্বল বিতরণ করা হয়।

স্মরণ সভায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাঞ্জুর সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।

এ সময় বক্তব্য রাখেন-মতিহার থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজিব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর তৌহিদুর রহমান টিটু, সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক মীর ইশতিয়াক লিমন, ফারুকের বড় বোন আসমা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড রাবি শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রাবি শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খালিদ হাসান বিপ্লব।

অনুষ্ঠানে ফারুকের বোন আসমা দ্রুত বিচার দাবি করে বলেন, ‘বড় আশা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল আমার ভাই। মা-বাবার আশা ছিল পড়ালেখা শেষ করে সংসারের হাল ধরবে। কিন্তু জামায়াত-শিবির সে আশা ব্যর্থ করে দিল। ’

তিনি বলেন, ‘হত্যার ছয় বছর পরেও দোষীদের বিচার হলো না। তাই আমার ভাইয়ের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আসার আগে দোষীদের যেন শাস্তি হয়, সে দাবি করছি। ’

নগর আওয়ামী লীগের সধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার ফারুক হত্যার বিচার দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ফারুকের বোনের চাকরি স্থায়ী করার দাবি জানান। এছাড়া ফারুক স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্মৃতিফলক নির্মাণের দাবি জানান তিনি।

অনুষ্ঠান শেষে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাবি ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ফিরোজ মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহম্মেদ রুনু, শরীফুল ইসলাম সাদ্দাম, ছাত্রলীগ নেতা মিনারুল ইসলাম প্রমুখ।

বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, হল দখলকে কেন্দ্র করে ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় শিবির ক্যাডাররা। এতে ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেন নিহত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৬
আরএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।