বরিশাল: বরিশাল নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভাটিখানা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৮টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ওই এলাকার বারেক মিয়ার ভাড়াটিয়া বাসা থেকে এ আগুনের সূত্রপাত ঘটে।
প্রায় দেড় ঘণ্টার চেস্টায় আগুন নিভায় বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বারেক মিয়ার বাড়িতে প্রায় ১৮-২০টি ঘরে ভাড়াটিয়া রয়েছে। যার একটি থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে হঠাৎ করেই আগুন লেগে যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন আশপাশের বসতঘরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আগুন নেভানোর চেষ্টা করে।
প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন মাস্টার মো. আলাউদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে তদন্ত ছাড়া কিছুই বলা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৮টি ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে এবং বেশ কয়েকটি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আগুনের ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
বরিশাল মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাহাবুবুর রহমান জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বা আগুনের সূত্রপাতের বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরপরই বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস, বরিশালের জেলা প্রশাসক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু, বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), আওয়ামী লীগ নেতা সেরনিয়াবাদ সাদিক আব্দুল্লাহসহ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বরিশালের জেলা প্রশাসক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান জানান, সার্বিক পরিস্থিতি খুবই দুঃখজনক। এখানে ক্ষতিগ্রস্ত সবাই দরিদ্র পরিবারের সদস্য। তাদের সার্বিক সহযোগিতা জেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলার পক্ষ থেকে করা হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে নুরজাহান, সুমি বেগম, সামছু, কুলসুম, কালু, ইরানী, রিপন, রেজাউল, রিয়াজ, মিনু, খাদিজা, ফরিদ, ইসমাইল ও কবিরের নাম জানা গেছে।
বর্তমানে পুরো এলাকা পুলিশী নজরদারীতে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৬
আরএ/