জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে তুলনা করে বাংলাদেশেও সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে ৩৫ করার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা-৭ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করেন তিনি।
মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এ দাবি জানান হাজী সেলিম।
এর আগে গত ১ ফ্রেব্রুয়ারি সংসদে দাবিটি উত্থাপন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা। তিনিও সেদিন সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবি করেছিলেন।
যদিও বিষয়টি নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে কিছুই বলা হয়নি।
হাজী সেলিম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার দাবি জানাচ্ছি। এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিশেষ ক্ষেত্রে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৪০ রয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ৪০ বছর, শ্রীলংকায় ৪৫ বছর, ইন্দোনেশিয়ায় ৪৫ বছর, ইতালিতে ৩৫ বছর, ফ্রান্সে ৪০ বছর, যুক্তরাষ্ট্রে ৫৯ বছর, কানাডা ও সুইডেন ৪৭ বছর, কাতার ও নরওয়েতে ৩৫ বছর, এঙ্গোলায় ৪৫ বছর এবং তাইওয়ানে ৩৫ বছর। আমাদের দেশে ডাক্তারদের আবেদনের বয়স ৩২ বছর। নার্সদের ৩৬ বছর। অথচ সংবিধানে সব নাগরিকের সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে ২০১২ সালে ২ ফ্রেবুয়ারিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে আবেদন করা হয়েছে।
সেলিম বলেন, বর্তমানে সেশনজটসহ বিভিন্ন কারণে চাকরির আবেদনের বয়স শেষ হয়ে যায়। ২০০৮ সালে শুধু মাস্টার্স ডিগ্রিতে সেশনজট ছিল দুই বছরের বেশি। ২০০৯ ও ২০১০ সালে তিন বছরের বেশি।
তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে সংসদে মুলতবি প্রস্তাবসহ বিভিন্ন সময় আলোচনা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে। বয়স সীমা অন্যান্য দেশের সঙ্গে মিলিয়ে ৩৫ করা হলে সরকারি চাকরি প্রত্যাশীরা উপকৃত হবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৬
এসএম/এমজেএফ