জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে: মিডিয়া প্রতিনিধিদের নির্বাচন, আড্ডা না হলেই যেন নয়। খণ্ড খণ্ড আড্ডা, কুশল বিনিময়ের মধ্যেই নির্বাচনী প্রচারণায় মুখর জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ।
আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হচ্ছে সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে একাংশ)) নির্বাচন।
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাব প্রার্থীদের প্রচারণায় মুখরিত।
নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে প্রচারণা বেড়েই চলেছে। প্রেসক্লাবের প্রবেশ গেটের পাশেই চেয়ার পেতে আড্ডার স্থলে প্রচারণা চালাচ্ছেন কেউ কেউ।
কেউ আবার ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে হাসি, ঠাট্টা আর গল্পের ছলে চালাচ্ছেন প্রচারণা। এ আড্ডার মাঝেই ভোট চেয়ে হানা দিচ্ছেন প্রার্থীরা। নিচ্ছেন ভোটারদের খোঁজখবর, চাইছেন আর্শীবাদ আর হাতে তুলে দিচ্ছে প্রচারণার হ্যান্ডবিল।
ডিইউজের নির্বাচনে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে চারটি প্যানেল। এর মধ্যে একটি প্যানেলে সভাপতি পদে লড়ছেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) প্রেসক্লাবে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে প্রার্থীদের প্রচারণা নয় যেন সাংবাদিকদের মিলনমেলা বসেছে। প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু করে পুরো প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ জুড়ে খণ্ড খণ্ড ভাবে চলছে আলোচনা। হচ্ছে প্রচারণা, বাড়ছে নির্বাচনী উত্তেজনা।
কোন প্যানেলের কোন প্রার্থীকে যোগ্য হিসেবে বেছে নেবেন সে নিয়েও চলছে গুঞ্জন। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন শাবান মাহমুদ।
দুপুরের দিকে দেখা যায়, প্রেসক্লাবের ফটো কর্নারে বসে আছে ফটো জার্নালিস্ট ও বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকরা। শাবান মাহমুদের এগিয়ে থাকার হিসেব নিয়েই চলছে আলোচনা। এরই মধ্যে কাকতালীয়ভাবে হাজির হলেন তিনি। করলেন সবার সাথে কুশল বিনিময় আর কোলাকুলি। তার যোগদানে আলোচনা আরো প্রাণবন্ত হয়ে উঠে।
খানিকটা পরেই দেখা যায়, প্রেসক্লাবের প্রবেশ ধার, ডিইউজে অফিস সিনিয়র, জুনিয়র সাংবাদিকদের খণ্ড খণ্ড সমাগম। সেখানেও শাবান মাহমুদকে নিয়ে আলোচনা।
সবার মধ্যেই আগামীর সাংবাদিক নেতা হিসেবে শাবান মাহমুদকে এগিয়ে রাখার চেষ্টা।
নির্বাচনের প্রার্থীরা:
সভাপতি: শাবান মাহমুদ, কুদ্দুস আফ্রাদ, আবু জাফর সূর্য, আবুল কালাম, ড. উৎপল কুমার সরকার ও সালাম মাহামুদ।
সহ-সভাপতি: আতিকুর রহমান চৌধুরী, অহিদুজ্জাম মিঞা, মো. মফিজুল ইসলাম ও মোস্তাক হোসেন।
সাধারণ সম্পাদক: সোহেল হায়দার চৌধুরী, আবদুল মজিদ, এম এ কুদ্দুস, খন্দকার মোজাম্মেল হক, মেহেদী হাসান, রহমান মুস্তাফিজ ও সাজ্জাদ আলম খান তপু।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: খায়রুল আলম, গাজী জহিরুল ইসলাম, রফিক আহমেদ, রওশন ঝুনু ও শাহানা শিউলী।
সাংগঠনিক সম্পাদক: জোবায়ের আহমেদ নবীন, মামুন আবেদীন, শাহজাহান মিঞা, মুস্তফা মনওয়ার সুজন ও সিদ্ধার্থ শঙ্কর ধর।
কোষাধ্যক্ষ: সেবিকা রানী, আশারাফুল ইসলাম, পলি খান, ফজলে রেজওয়ান করিম ও বরুন ভৌমিক নয়ন।
প্রচার সম্পাদক: আকতার হোসেন, আবু সাঈদ, আশীষ কুমার সেন, এম শাহজাহান ও নাজমুল হাসান।
ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক: অঞ্জন রহমান, খালেদ আহমেদ, মো. মফিজুর রহমান খান বাবু ও হামিদ মোহম্মাদ জসিম।
দফতর সম্পাদক: আব্দুল্লাহ আল মামুন, জাহাঙ্গীর খান বাবু, জি এম মাসুদ ঢালী, মনিরুজ্জামান উজ্জল ও রহমান মুফিজ।
জনকল্যাণ সম্পাদক: এ জিহাদুল রহমান জিহাদ, উম্মুল ওয়ারা সুইটি, শাহ আলম ডাকুয়া ও শেখ নূর ইসলাম। এছাড়া নির্বাহী পরিষদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৬ জন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৬
এসজেএ/আরইউ/আরআই