মেহেরপুর: ‘জিনের বাদশা’ পরিচয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার স্কুলশিক্ষিকা নওরিন ফেরদৌসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাকে বরখাস্ত করা হয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এসএম তৌফিকুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, নওরিন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারলে চাকরি ফিরে পেতে পারেন।
এদিকে, এ ঘটনায় নওরিনের বাবা আক্তারুজ্জামান অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে, নওরিনকে দুপুরেই আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি সাংবাদিকদের জানান, তিনি প্রেমিকের প্রতারণার শিকার। চাঁদাবাজির ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা নেই।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মোক্তার হোসেন জানান, এ ঘটনায় আটক নওরিনের কথিত প্রেমিক উপজেলার মালশাদহ গ্রামের ইকরামুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
নওরিন ফেরদৌস গাংনী উপজেলার চৌগাছা গ্রামের বিশ্বাসপাড়ার আক্তারুজ্জামানের মেয়ে। তিনি তেরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষিকা এবং কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।
সম্প্রতি শহরের কাথুলি মোড় এলাকার ইয়াসিন মেডিসিন কর্নারের মালিক আফতাব হোসেনের কাছ থেকে জিনের বাদশা পরিচয়ে মোবাইল ফোনে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনার মামলায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৬
এসআর/
** ‘জিনের বাদশা’ পরিচয়ে চাঁদাবাজি, স্কুল শিক্ষিকা আটক