কুষ্টিয়া: বঙ্গবন্ধুর প্রেস সচিব, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সাংবাদিক ও লেখক খন্দকার আমিনুল হক বাদশার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি)।
গত বছরের এই দিনে লন্ডনের অর্পিংটন হাসপাতালে তিনি মারা যান।
আমিনুল হক বাদশার জন্ম ১৯৪৪ সালের ২৪ অক্টোবর। বাবা খন্দকার লুতফুল ও মা সকিনা বেগমের ১০ সন্তানের মধ্যে বাদশা ছিলেন দ্বিতীয়।
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হল ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক বাদশা সামরিক শাসক আইয়ুববিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিভিন্ন সময় কারাভোগ করেন।
প্রাক-মুক্তিযুদ্ধকালে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদের সদস্য আমিনুল ছাত্রবন্দি হিসেবে কারাগারে থেকে স্নাতক পাস করেন। ১৯৭১ সালে তিনি মুজিবনগরে বাংলাদেশ মিশনের বর্হিপ্রচার বিভাগের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সংবাদ উপস্থাপক আমিনুল হক বাদশা বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স বিএলএফের সদস্য ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৯ সালে আগরতলা মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রেস সচিব নিযুক্ত হন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ১৯৭৫ সালের শেষ দিকে সামরিক শাসনের কারণে তিনি লন্ডনে চলে যেতে বাধ্য হন।
আমিনুল হক বাদশা ঢাকার ডেইলি ইন্ডিপেনডেন্ট, এটিএন বাংলা (ইউকে), লন্ডনের দৈনিক নতুন দিন, কলকাতার দৈনিক আজকাল পত্রিকায় দীর্ঘদিন কাজ করেছেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রবীণ সদস্য বাদশা ছায়ানটের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। প্রখ্যাত অভিনেতা প্রয়াত রাজু আহমেদ তার বড় ভাই। ছোট ভাই খন্দকার কামরুল হক শামীম বাংলাদেশ প্রতিদিনের বাণিজ্যিক উপদেষ্টা।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৬
টিআই