ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সংসদে বিল উত্থাপন

লাইসেন্স ছাড়া পেট্রোলিয়াম আমদানি করলে কারাদণ্ড

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৬
লাইসেন্স ছাড়া পেট্রোলিয়াম আমদানি করলে কারাদণ্ড

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: লাইসেন্স ছাড়া পেট্রোলিয়াম আমদানি, মজুদ, পরিবহন, বিতরণ উৎপাদন, শোধন ও মিশ্রণসহ আইনের কোনো ধারা বা লাইসেন্সের শর্ত লঙ্ঘনকারীকে ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রেখে পেট্রোলিয়াম বিল- ২০১৬ সংসদে উত্থাপিত হয়েছে।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদে  বিদ্যুৎ, জ্বালানি, খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিলটি উত্থাপন করেন।



পরে বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

বিলে বলা হয়েছে, সরকারের অনুমোদনক্রমে কোনো তেল বিপণন কোম্পানি প্রথম শ্রেণীর পেট্রোলিয়াম ব্যবসা করার জন্য ডিলার নিয়োগ করতে পারবে। একইভাবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর পেট্রোলিয়াম ব্যবসার জন্য এজেন্ট নিয়োগ করতে পারবে।

লাইসেন্স ছাড়া প্রথম শ্রেণীর পেট্রোলিয়াম আমদানি, পরিবহন, মজুদ বা বিতরণ করা যাবে না। তবে লাইসেন্স ছাড়া ২ হাজার লিটার পরিমাণ দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর মজুদ ও পরিবহণ করা যাবে। কিন্তু তা এক হাজার লিটার পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে।

এছাড়া লাইসেন্সধারী মোটরযান বা জ্বালানি ইঞ্জিনের জন্য ৯০ লিটার পেট্রোলিয়াম মজুদ ও পরিবহণ করতে পারবে। একইভাবে বিক্রির জন্য ছাড়া লাইসেন্স ব্যতীত ২৫ লিটার পরিমাণ প্রথম শ্রেণীর পেট্রোলিয়াম মজুদ করার বিধানও আইনে রাখা হয়েছে।

তবে ২৫ লিটারের বেশি মজুদ করতে হলে লোকালয়, বাসস্থান বা কর্মস্থলের বাইরে বিচ্ছিন্ন স্থানে করতে হবে। প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক বা তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত বিস্ফোরক পরিদর্শক লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে বিবেচিত হবেন। লাইসেন্স নির্দিষ্ট মেয়াদ, শর্ত, ফি প্রদান সাপেক্ষে ইস্যু হবে।

বিল বিষয়ে বলা হয়, পেট্রোলিয়াম সম্পর্কিত ১৯৩৪ সালের দ্য পেট্রোলিয়াম অ্যাক্ট আইনটি ১৯৮৬ সালের দ্য পেট্রোলিয়াম (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স দ্বারা সংশোধন করা হয়।

ওই আইনটি পেট্রোলিয়াম এবং অন্যান্য প্রজ্জ্বলনীয় পদার্থের আমদানি, পরিবহন মজুদ, উৎপাদন, শোধন, মিশ্রণ অথবা রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করা সংক্রান্ত কার্যাদি সম্পাদন করা হচ্ছে।
 
সংবিধান (পঞ্চাদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ দ্বারা সংবিধান (পঞ্চম সংশোধন) আইন, ১৯৭৯ বিলুপ্তির ফলে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ থেকে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সামরিক ফরমান দ্বারা জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহ অনুমোদন ও সমর্থন সংক্রান্ত সংবিধানের চতুর্থ তফসিল বিলুপ্ত হয়।

সংবিধান (সপ্তম সংশোধনী আইন), ১৯৮৬ এর ধারা ৩ বাতিল ঘোষিত হওয়ায় সামরিক শাসন আমলে জারীকৃত দ্য পেট্রোলিয়াম (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স ১৯৮৬ কার্যকারিতা হারায়।

সংবিধানের ৯৩ (২) অনুচ্ছেদের নির্দেশনা পূরণকল্পে উক্ত অধ্যাদেশসমূহের মধ্যে কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর রাখার প্রয়োজনে কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকরকরণ (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১৩ প্রণীত হয়।

এছাড়া আলোচ্য অধ্যাদেশটি বাংলা ভাষায় ভাষান্তরপূর্বক আইন আকারে উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সংশোধিত অধ্যাদেশের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা বিবেচিত হওয়ায় সংশোধিত অধ্যাদেশের বিষয়গুলো ১৯৩৪ সালের আইনের অন্তর্ভুক্ত করে সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে বাংলায় পেট্রোলিয়াম আইন, ২০১৬ নামে নতুন একটি আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৬
এসএম/এসকে/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।