ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নিয়মের তোয়াক্কা না করেই পাহাড় কাটছে গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্ট

এনভায়রনমেন্ট স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৬
নিয়মের তোয়াক্কা না করেই পাহাড় কাটছে গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্ট

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার): চায়ের রাজ্য শ্রীমঙ্গলে কোনো নিয়মের তোয়াক্কা না করে দেদারছে পাহাড় কাটছে বিলাসবহুল পাঁচ তারকা মানের ব্যবসায়িক আবাসন গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ।
 
শ্রীমঙ্গল উপজেলার মহাজিরাবাদ এলাকায় গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা ‘জান্নাতুল ফেরদৌস’।

সেখানে পাহাড় কেটে আবাসন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। চলছে পাহাড় কাটা। পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণ এ উপজেলাটির জন্য যা মোটেই সুখকর নয়।
 
তবে পাহাড় কাটার বিষয়টি সরাসরি অস্বীকার করেছে গ্র্যান্ড সুলতান কর্তৃপক্ষ।  

পাহাড় কাটার খবর পেয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) বিকেলে জান্নাতুল ফেরদৌসে গেলে এ প্রতিবেদকসহ একজন পরিবেশকর্মীকে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
 
পার্শ্ববর্তী টিলা বেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, টিলা কাটা হয়েছে এবং বেশ কিছু নিচু জায়গা নতুন মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, মসজিদ ও কবর স্থান তৈরির জন্য এ জায়গাটি কিনেছিলো গ্র্যান্ড সুলতান কর্তৃপক্ষ। দু’তিন দিন ধরে এখানে পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। পাহাড় না কাটলে এতোগুলো নতুন মাটি কোথা থেকে এলো?

পার্শ্ববর্তী টিলার উপরে উঠলেই দেখা যাবে ওরা মাটি কেটেছে কি না? তাদের ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খোলে না; ভাড়াটে লোক দিয়ে সাধারণ মানুষকে নানা হয়রারি করা হচ্ছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিটির অভিযোগ।

গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফের অ্যাডমিন মাহমুদুল ইসলাম মাহমুদ পাহাড় কাটার কথা সরাসরি অস্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, উচ্চ পর্যায়ের নিষেধ আছে। এই মুহূর্তে আপনাদের ভেতরে প্রবেশের কোনো অনুমতি নেই। তবে আপনারা অবশ্যই ভেতরে যেতে পারবেন; কিন্তু এখন নয়।
 
পরিবেশবাদী ও সমাজসেবামূলক সংগঠন পাহাড় রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি মো. সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শ্রীমঙ্গলে বতর্মানে পাহাড় কাটার প্রতিযোগিতা চলছে। মহাজিরাবাদের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় কেটে আবাসন নির্মাণ করা হচ্ছে। যা পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থার জন্য চরম হুমকি।

তিনি আরও বলেন, পাহাড় কাটার বিষয়টি সরেজমিন দেখতে যেতে চাইলে মাহমুদুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘জোর করে আমাদের এলাকায় আপনি কী প্রবেশ করতে পারবেন?’
 
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শহীদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমান আইন অনুযায়ী পাহাড় বা টিলা যদি ব্যক্তিগত জায়গাও হয় তবুও তা কাটতে গেলে সরকারের অনুমতি লাগবে। বিষয়টি আমি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখছি।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৬
বিবিবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।