ঢাকা: দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে মারাত্মক আহত ব্যক্তিদের জরুরী চিকিৎসাসেবা দিতে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড ট্রাস্ট সার্ভিসেস(ব্লাস্ট) ও সৈয়দ সাইফুদ্দীন কামাল।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সারা হোসেন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার অনিতা গাজী রহমান, ব্যারিস্টার রাসনা ইমাম, এস এম রেজাউল করিম এবং শারমিন আক্তার।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
আদালত জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা ২০১৪-১৬ অনুয়ায়ী রাষ্ট্রের সকল হাসপাতালে ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে জরুরী চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন তিনমাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।
পাশাপাশি স্বাস্থ্যসচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং চিকিৎসা প্রাপ্তিতে বাধাপ্রাপ্ত হলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি কোথায় অভিযোগ দাখিল করবেন সে বিষয়ে নীতিমালা তৈরি ও এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সচেতনতা তৈরি করতেও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এছাড়াও হাইকোর্ট স্বাস্থ্যসচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে দুর্ঘটনাজনিত কারণে আঘাতপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তিকে জরুরী চিকিৎসা সেবা দিতে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তি বা দুর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত কোনো ব্যক্তি যদি সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন, তবে তাদের সুরক্ষার জন্য একটি নির্দেশনা তৈরি করারও নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ২১ জানুয়ারি আরাফাত নামে একজন বাসের হেলপার পা পিছলে নিচে পড়ে মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে তাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নেওয়া হলে ওই হাসপাতাল চিকিৎসা করতে অস্বীকৃতি জানায়। সেই আহত ব্যক্তিকে অন্য আরো দু’টি হাসপাতালে নেওয়া হলে সেগুলো থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে গুলশান থানার একজন সাব-ইন্সপেক্টরের এর সহায়তায় তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রিট আবেদনে বলা হয়, এ ঘটনা সংবিধানের অনুচ্ছেদ, ২৭, ৩১ ও ৩২ ও মেডিকেল ব্যবস্থা এবং বেসরকারি ক্লিনিকসমূহ ও ল্যাবরেটরি অর্ডিন্যান্স-১৯৮২ এর ধারা ৮, ১১ এবং বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ১৯৮০ এর ধারা ৫(ক) এর লঙ্ঘন।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৬
ইএস/এএসআর