ব্রাহ্মণবাড়িয়া: প্রাপ্তবয়স্ক না হলেও অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন করেছিলেন বাবা-মা। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের অভিযানের খবরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন তারা।
পরে মেয়েটির চাচাসহ অন্য স্বজনেরা ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দেবেন না বলে মুচলেকা দেন।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আলোচিত এ ঘটনা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার রাতে মেয়ের আয়োজন করেন ওই গ্রামের এক ব্যক্তি। কিন্তু স্কুলছাত্রীর এ বিয়ে ঠেকাতে ‘উপজেলা বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ কমিটি’র পক্ষে উপজেলা প্রশাসনের কয়েক কর্মকর্তা সন্ধ্যায় কনের বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন।
আশুগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক আহমেদ খান বাংলানিউজকে জানান, মেয়ের বাবা-মা পালিয়ে যাওয়ায় অন্য অভিভাবকদের বুঝিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়েছে।
এ সময় উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুল কাদির, উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রোখসানা পারভিন, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী বায়েজিদ উল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল রশিদ, কাউছার আলমসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) সন্দ্বীপ কুমার সিংহ জানান, আশুগঞ্জ উপজেলায় বাল্যবিয়ে রোধে ২০১৫ সালের জুলাইয়ে ‘প্রিভেন্টিং চাইল্ড ম্যারেজ থ্রু নেটওয়ার্কিং’ নামে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এজন্য উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জেন, মন্দিরের পুরোহিত, শিক্ষক, কাজী ও সমাজের বিশিষ্টজনদের সমন্বয়ে বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বাল্যবিয়ের সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণেরও বিধান রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৬
এসআর