ঢাকা: গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানির উদ্যোগ নিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ মামলায় বিচারিক আদালতের নথি উচ্চ আদালতে আসার পর এমনটাই জানিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাব্বির ফয়েজ।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে তিনি জানান, ১৭ জানুয়ারি বিচারিক আদালতের নথিপত্র হাইকোর্টে আসে। এখন মামলাটির শুনানির জন্য দ্রুত পেপারবুক প্রস্তুতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০১৩ সালে শাহবাগ আন্দোলন শুরুর দশম দিনে ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পল্লবীতে নিজের বাসার সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রাজীবকে।
এ ঘটনায় রাজীবের বাবা ডা. নাজিম উদ্দিনের করা মামলার তদন্তে ধর্মীয় উগ্রবাদীরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে উঠে আসে।
মামলার তদন্ত শেষে গত বছরের ২৮ জানুয়ারি জসীমউদ্দিন রাহমানীসহ ওই আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক নিবারণ চন্দ্র বর্মণ। ২০১৫ সালের ১৮ মার্চ তাদের সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করে আদালত।
মামলার অভিযুক্ত আটজনের মধ্যে প্রধান আসামি রেদোয়ানুল আজাদ রানা ছাড়া সবাই কারাগারে আছেন।
এরপর ৩১ ডিসেম্বর বিচারিক আদালতের রায়ে রাজধানীর বেসরকারি নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র পলাতক রেদোয়ানুল আজাদ রানা ও ফয়সাল বিন নাঈম দীপকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।
এছাড়া মাকসুদুল হাসান অনিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
বাকি পাঁচজনের মধ্যে এহসান রেজা রুম্মান, নাঈম ইরাদ ও নাফিজ ইমতিয়াজকে ১০ বছরের কারাদণ্ডসহ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আনসার-উল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি মো. জসীমউদ্দিন রাহমানীকে ৫ বছরের কারাদণ্ডসহ দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দু’মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।
আর সাদমান ইয়াছির মাহমুদকে ৩ বছরের কারাদণ্ডসহ দুই হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৬
ইএস/জেডএস