ঢাকা: মৃত শিশুকে ভর্তি রেখে টাকা আদায়ের ঘটনায় জাপান-বাংলাদেশ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের পরিচালককে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি তাদেরকে আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমান ও তৌফিক ইনাম টিপু। এরপর আদালত তলবাদেশসহ রুল জারি করেন।
তৌফিক ইনাম টিপু জানান, রুলে এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধে কেন মামলা করা হবে না এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন। দশ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মৃত শিশুকে ভর্তি রেখে টাকা আদায়সহ নানা অনিয়মের দায়ে বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ঝিগাতলার জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ মেডিকেল সার্ভিসেস হাসপাতালের ছয়জনকে আটক করা হয়। একইসঙ্গে হাসপাতালটিকে তৎক্ষণাৎ সাড়ে ১১ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়।
আদালতের নির্দেশে আটক ছয়জন হলেন- নজরুল ইসলাম, ডা. শরিফুজ্জামান, মো. কাওসার, মোছা. লিজা, মনতেশ মন্ডল ও সুমন মন্ডল।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া র্যাব-২ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) হাসপাতালটিতে ১ বছর ৪ মাসের একটি শিশু মারা গেলেও কর্তৃপক্ষ তাকে জীবিত দেখিয়ে পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়া, অনভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা শিশু রোগের চিকিৎসা করা, মেডিকেল বোর্ড গঠনের কোনো ব্যবস্থা না থাকা, বায়োকেমিস্ট না থাকাসহ নানা অভিযোগে হাসপাতালের ছয় জনকে আটক করা হয়। তৎক্ষণাৎ হাসপাতালকে ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানকালে র্যাব-২ এর উপ-পরিচালক ড. দিদারুল আলম ও মেজর আতাউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৬/আপডেট: ১২৫৩ ঘণ্টা, ১৩১৫ ঘণ্টা
ইএস/জেডএস
** মৃত শিশুকে ভর্তি রেখে টাকা আদায় জাপান বাংলাদেশ মেডিকেলের!