ঢাকা: কোনো প্রকার প্রচারণায় না যেয়েই কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকাতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংক্রান্ত কোনো সেবা না দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহাপরিচালক। কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে, যেন তারা আর কোনো সেবা এখান থেকে না দেন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) একটি অনুবিভাগ জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন বা এনআইডি শাখা। যা রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনে স্থাপিত। এটি পরিচালিত হয় মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দিনের দ্বারা।
তিনিই বুধবার তার অধঃস্তন সকল কর্মকর্তাদের উদ্দেশে একটি ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তি’ জারি করেছেন।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে-‘জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন এবং স্থানান্তর সংক্রান্ত আবেদন (সরকারি চাকরিজীবীসহ) আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এই কার্যালয়ে গ্রহণ করা হবে না। ’
‘জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত সকল সেবা, যেমন নতুন অন্তর্ভুক্তি, সংশোধন, স্থানান্তর, হারানো এবং আঙ্গুলের ছাপ গ্রহণ ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিস হতে প্রদান করা হবে। ’
এই বিজ্ঞপ্তি ইসির ইন্টার্নাল ওয়েবসাইটে দেওয়ার কারণেই সমগ্র দেশের কর্মকর্তাদের মত ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও বিষয়টি দেখেছেন।
কর্মকর্তারা বলছেন, যে কেনো কারণে ঢাকার বাইরের সেবা ঢাকা থেকে না দেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু এজন্য আগে ব্যাপক প্রচারণার দরকার। কেন না, সেবা না দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কর্মকর্তাদের। কিন্তু বিষয়টি তো সেবাগ্রহীতারা জানেন না। কাজেই তারা কিন্তু ঢাকার বাইরে থেকে বিভিন্ন জটিল সমস্যার সমাধানে ঢাকাতেই আসবেন। আর এমন নির্দেশনার কারণে সেবা না পেয়ে ফিরে যাবেন। এতে জনসাধারণের হয়রানি আর ভোগান্তি বাড়বে। তাই উচিত ছিলো এ ধরনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে যাওয়ার আগে পর্যন্ত প্রচারণা করার।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, প্রচারণা ছাড়া এ ধরনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন উচিত নয়। কেননা, এতে জনগণের ভোগান্তি বাড়বে।
দেশে বর্তমানে ভোটার রয়েছেন প্রায় ১০ কোটি। এদের মধ্যে ৯ কোটি ২০ লাখ নাগরিক এনআইডি পেয়েছেন। যার মধ্যে প্রায় ১ কোটি নাগরিকের আইডিতে বিভিন্ন ভুল রয়েছে।
এখনও স্থানীয় পর্যায়ে এনআইডি সংক্রান্ত সেবার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়নি। তাই এখনও প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ গ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন সেবা নিতে। কিন্তু হঠাৎ কোনো প্রচারণা ছাড়াই এ ধরণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন কাম্য নয় বলেও মনে করছেন অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৫
ইইউডি/আরআই