ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সুমি আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে কসবা পৌর এলাকার কাঞ্চনমুড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সুমির মা জুয়েল বেগম বাদী হয়ে কসবা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের অক্টোবর মাসে কসবা পৌর এলাকার কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের সাজিদ পাঠানের সঙ্গে একই এলাকার তালতলা জগৎপুর গ্রামের আব্দুর রউফের মেয়ে সুমি আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে সুমিকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল।
বৃহস্পতিবার সকালে সুমির স্বামী সাজিদ পাঠান মোবাইল ফোনে তার শ্বাশুড়ি জুয়েল বেগমকে সুমির অসুস্থ্যতার কথা জানিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসতে বলে।
মেয়ে জামাইয়ের ফোন পেয়ে জুয়েল বেগম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে এসে সুমিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তিনি মরদেহের পাশে তার মেয়ের শ্বশুরবাড়ির কাউকে দেখতে পাননি।
কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত চিকিৎসক জানায়, মৃত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মা জুয়েল বেগম জানান, শ্বশুরবাড়ির লোকজন সুমিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৬
আরএ