ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের সাবেক চেয়ারম্যান মীর কাশেম আলী, মাওলানা আব্দুস সোবহানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ঢাকায় ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের জমি ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ইতোমধ্যে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে দুদকের উপপরিচালক বেনজীর আহমেদকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল নির্মাণে গঠিত ১৪ সদস্যের কমিটির একজন হেরিটেজ এক্সপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান আশরাফুল হক মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের বর্তমান চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা আনোয়ার, ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ইস্কান্দার আলী খান, নির্বাহী পরিচালক মো. ফজলুর রহমান, মো. দাউদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল হাই, লুৎফুননেসা ও ড্রিম ভিউ ক্যাবল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান মো. সুলতানউজ্জামান।
মামলায় বলা হয়, ২০০৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দিগন্ত মিডিয়া নামক একটি কোম্পানি উন্মোচনের সময় আসামিদের সাথে বাদীর পরিচয় হয়। তারই সূত্রধরে ২০১০ সালে মীর কাশেম আলী তাকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল নির্মাণে প্রলুব্ধ করেন। এরপর তাকে সহ ১৪ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়।
এরপর ফাউন্ডেশনের অধীন ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের জন্য জমি ক্রয়ের প্রস্তাব গৃহীত হয়। জমি ক্রয়ের জন্য ফাউন্ডেশন থেকে টাকা না দিয়ে মীর কাশেম আলী বাদীকে জমি ক্রয়ের জন্য টাকা দিতে প্রলুব্ধ করেন। বিনিময়ে তাকে হাসপাতালের শেয়ার দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
সে মোতাবেক বাদী আশরাফুল হক জমি ক্রয়ের জন্য ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা প্রদান করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, জমি ক্রয়ের জন্য তার কাছ থেকে ২০ কোটি ৬০ লাখ টাকা নেওয়া হলেও মাত্র ৫২ লাখ টাকায় জমি কিনে বাকি টাকা আত্মসাৎ করা হয়। বিষয়টি তিনি জানার পর টাকার জন্য চাপ দিলে তাকে টাকার সমমূল্যের হাসপাতালের শেয়ার দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়। কিন্তু তাকে শেয়ার দেওয়া হচ্ছে না।
বাদী অভিযোগ করেন, জমি কেনা নয় তার টাকা আত্মসাৎ করাই ছিল আসামিদের উদ্দেশ্য।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৬/ আপডেট: ২১৩৭ ঘণ্টা
এমআই/এডিএ/এমজেএফ/