ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মেহেদী রাঙা হাতে জাবিতে বসন্ত বরণ

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৬
মেহেদী রাঙা হাতে জাবিতে বসন্ত বরণ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: প্রতিবারের মতো এবারো ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নিতে নতুন সাজে সেজেছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঘেরা বিদ্যাপীঠ জাহাঙ্গীরগর বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসের আনাচে-কানাচে ফুটে থাকা মুহুমুহু ফুলের ঘ্রাণ যেন বসন্তকে নতুন রুপ দিয়েছে।



বসন্তের এ দিনে তরুণীরা হলুদ আর বাসন্তী রঙের শাড়ি ও তরুণরা সাদা রংয়ের পাঞ্জাবি পরে বসন্ত বরণ উৎসবে সামিল হয়েছে।

বসন্তের আগমনে তাদের মনে বেজে উঠছে কবির সেই বাণী, ‘বসন্ত ছুঁয়েছে আমাকে। ঘুমন্ত মন তাই জেগেছে, পয়লা ফাল্গুন আনন্দের দিনে। ’

বসন্তকে বরণ করে নেওয়ার জন্য ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সংগঠন পক্ষ থেকে নানাবিধ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন এক্সপ্লোরার্স ‘বসন্তের মাতাল হওয়ায়, লাগুক মনে প্রাণের ছোঁয়া’ স্লোগানে আয়োজন করেছে মেহেদী ও ঘুড়ি উৎসব।

শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারের পাশে মহুয়া তলায় এ উৎসবের শুরু হয়। চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত।

মেহেদী পাতায় হাত রাঙানোর জন্য ক্যাম্পাসের আশপাশে থেকে ছুঁটে এসেছে তরুণ-তরুণী। এমনকি শিশু ও বয়ষ্করাও বাদ যায়নি মেহেদী রঙে নিজেকে রাঙাতে।

মেহেদী রঙ’য়ে হাত রাঙিয়ে ডেইরি ফার্ম মাধ্যমিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী সানজিদা আক্তার শিউলি বলেন, মেহেদী লাগাতে কার না ভাল লাগে, নিজের হাত রাঙিয়ে খুব ভাল লাগছে।

অন্যের হাত রাঙিয়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সানজিদা শহীদ মৌ বলছিলেন, আজ একটি রঙিন দিন। এই দিনে নিজেকে যেমন নতুন করে রাঙিয়ে তুলতে ভাল লাগে, তেমনি অন্যকেও রাঙাতে ভাল লাগে। তাই প্রতি বছর এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করে থাকি।

এ উৎসবের দিনব্যাপী আয়োজনের মধ্যে আছে, ঘুড়ি উৎসব, খেলাধুলা প্রতিযোগিতা, রাফেল ড্র ও পুরস্কার বিতরণী।

সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অমিয় বাণী ‘ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত’ উদ্ধৃতি করে সাংস্কৃতিক সংগঠন এক্সপ্লোরার্সের সভাপতি মাহবুবুল হাসান বলেন, বসন্তের রংয়ে সবাইকে রাঙিয়ে তোলার জন্য মূলত আমরা এক্সপ্লোরার্সের পক্ষ থেকে এ উৎসবের আয়োজন করে থাকি। তারই ধারাবাহিতা এবারো এ আয়োজন করেছি।

বসন্তের এ আয়োজনে প্রায় ৩০০ তরুণ-তরুণীর হাতকে রাঙিয়ে তোলার সঙ্গে সঙ্গে তাদের মনকেও রাঙিয়ে তুলতে পারবো বলে আশার করছি।  

পেছনের দিনগুলো ভুলে গিয়ে নতুন করে জীবনের গতি নির্ধারণ করতে হাতে হাত রেখে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে দেখা যায় প্রেমিক যুগলকে। তাই বসন্ত এলেই মনে পড়ে যায় রবীন্দ্রনাথের সেই পরিচিত গান ‘আহা আজি এ বসন্তে, এত ফুল ফোটে, এত বাঁশি বাজে, এত পাখী গায়’।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৬
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।