ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণে উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয়েছে সরস্বতী পূজা উদযাপন। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ভক্ত-দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণ।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া ৯টায় জগন্নাথ হল মন্দিরে শ্বেতশুভ্র বসনা জ্ঞানদায়িনী দেবী সরস্বতীর পূজাঅর্চনার মধ্য দিয়ে এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর ভক্তরা পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে প্রণাম জানায় বিদ্যার দেবী সরস্বতীকে। এ সময় শিশুদের দেওয়া হয় হাতেখড়ি, ভক্তদের মাঝে বিতরণ করা হয় প্রসাদ।
সরস্বতী পূজা উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সজ্জিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ হল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৩টি বিভাগ ও অনুষদের পক্ষ থেকে এ বছর পূজামণ্ডপ স্থাপন করা হয়েছে। সব ধরনের প্রস্তুতি শেষে মাঝরাতে মণ্ডপগুলোয় প্রতিমা স্থাপন করা হয়।
এছাড়া বরাবরের মতো হলের পুকুরে স্থাপন করা হয়েছে ঢাবি চারুকলা ইনস্টিটিউটের শোলা দিয়ে তৈরি বিশালাকার একটি প্রতিমা। সবকিছু মিলিয়ে জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণ সেজেছে অপরূপ সাজে।
সরস্বতী পূজা মূলত হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলেও ঢাবি’র বিভিন্ন বিভাগের সব ধর্মের অনুসারীরা এতে অংশ নেয়। এখানে ঢাবি’র বিভিন্ন বিভাগ ও হলের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আশেপাশের এলাকার দর্শনার্থীরাও পরিবার-পরিজন নিয়েও এসেছেন পূজা দেখতে। এসেছেন বাংলাদেশে বসবাসরত বিদেশিরাও। সব মিলিয়ে জগন্নাথ হলের উৎসবমুখর পরিবেশ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো ক্যাম্পাস এলাকায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের পাশাপাশি ছাত্রীদের পাঁচটি হলেও পূজার আয়োজন করা হয়েছে। ভবনগুলোতে আলোক সজ্জার পাশাপাশি পূজা, প্রসাদ বিতরণসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মেয়েদের হলগুলোও পরিণত হয়েছে বিদ্যানুরাগীদের মিলনমেলায়।
জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অসীম সরকার বাংলানিউজকে বলেন, সরস্বতী পূজায় ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিবছরই প্রচুর মানুষ দেবীর আরাধনায় অংশ নেয়। এ বছরও এর ব্যতিক্রম হয়নি। সব ধর্মের মানুষের মধ্যে এই সম্প্রীতি যেন সবসময় বজায় থাকে, মানুষ যেন বিদ্যাদেবীর কাছ থেকে ভালবাসা ও জ্ঞান লাভ করতে পারে এই কামনা করি।
পূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৬
এইচআর/আরএম
** সরস্বতী পূজায় অংশ নিলেন প্রধান বিচারপতি