ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রোববার সুন্দরবন দিবসে খুলনায় নানা আয়োজন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৬
রোববার সুন্দরবন দিবসে খুলনায় নানা আয়োজন ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা: বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালোবাসার আহ্বান জানিয়ে এবারেও সুন্দরবন সন্নিহিত এলাকায় রোববার পালিত হবে সুন্দরবন দিবস।

তিন দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় পর্যায়ের কর্মসূচির শেষ দিনে রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে খুলনা মহানগরীর জাতিসংঘ শিশু পার্কে স্কুলভিত্তিক শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।



শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাব ভিআইপি প্রেস রুমে দিবসটি উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুন্দরবন একাডেমীর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক জহির উদ্দিন আহমেদ ও খুলনা প্রেসক্লাবের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক আহমেদ।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সুন্দরবন একাডেমী ও বন বিভাগের আয়োজনে এবং কয়েকটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন যেমন কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড, রিলিফ ইন্টারন্যাশনাল, ক্রেল, বাঘ প্রজেক্ট, রূপান্তর এবং খুলনা প্রেসক্লাবের সহায়তায় এবারের সুন্দরবন দিবসের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান বরাবরের মতোই খুলনায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের ভেন্যু জাতিসংঘ শিশু পার্ক।

এবারের সুন্দরবন দিবসের প্রধান আকর্ষণ হলো- খুলনা মহানগরীর নির্বাচিত ২০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের  প্রায় চার শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীর প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ। ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলভিত্তিক অঙ্কন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে ‘সুন্দরবন সংরক্ষণে আমার ভাবনা’ ধারণাটি রং-তুলিতে ফুটিয়ে তুলেছে যাতে সুন্দরবন সংরক্ষণে ছাত্র-ছাত্রীদের চিন্তা-চেতনা এবং দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছে।

গত শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে চিত্রাঙ্কন ও বক্তৃতা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সুন্দরবন দিবসের কেন্দ্রীয় কার্যক্রমে।

অন্যান্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে আজকের এই সংবাদ সম্মেলন। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সুন্দরবন বিষয়ে চিত্রাঙ্কন এবং বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় সম্পৃক্ত করার উদ্দেশ্য হলো, আগামী প্রজন্মের এই প্রতিনিধিদের ‘সুন্দরবন সচেতন’ করে গড়ে তোলা যাতে করে ভবিষ্যতে তারা জগৎবিখ্যাত এই বন সুরক্ষায় যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে আশা প্রকাশ করে বলা হয়, সাংবাদিক সমাজের ক্ষুরধার লেখনির মধ্য দিয়ে আমরা অচিরেই সুন্দরবন দিবসের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি সরকারের কাছ থেকে আদায় করতে পারব- যার দাবি খুলনার মানুষ জানিয়ে আসছে বিগত ১৫ বছর যাবৎ।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক জহির উদ্দিন আহমেদ জানান, সুন্দরবনের বৃক্ষ এবং প্রাণীর নিরাপত্তা বিধানে ইতোমধ্যেই নানান ধরনের ফলপ্রসু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সুন্দরবন নির্ভর মানুষদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে তাদের পেশা পরিবর্তনের জন্য ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে। যাতে তারা অন্য পেশায় টিকে থাকতে পারে তারও ব্যবস্থা হচ্ছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সৈয়দ আলী, খুলনা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব মুন্সি মাহবুবুল আলম সোহাগ প্রম‍ুখ।

উল্লেখ্য, ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবসে স্কুলভিত্তিক শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে জাতিসংঘ শিশু পার্কে। আশা করা হচ্ছে ১৪ ফেব্রুয়ারি খুলনায় কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী, সুন্দরবনপ্রেমী, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ সাতশ’ মানুষ অংশ নেবেন। এ ছাড়াও ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালবাসুন’ স্লোগান তুলে ধরে দেশে ও দেশের বাইরে ব্যাপকভাবে ই-কার্ড মেইল করার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় পর্যায়ে খুলনায় সুন্দরবন দিবস অনুষ্ঠান আয়োজনের পাশাপাশি সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা জেলা সুন্দরবন সন্নিহিত উপজেলাসমূহে সুন্দরবন দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা,ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৬
এমআরএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।