খাগড়াছড়ি: পার্বত্য তিন জেলাসহ মোট ৬টি জেলায় বাংলাদেশে অবস্থানরত অনিবন্ধিত মিয়ানমারের নাগরিক শুমারি শুরু হয়েছে।
দুই ধাপে সম্পন্ন হবে এ শুমারি।
তবে কোনো বাড়ির বাসিন্দাদের মিয়ানমারের নাগরিক বলে সন্দেহ হলে সেই বাড়িতে লাল কালি দিয়ে সাংকেতিক চিহ্ন দেওয়া হবে।
পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ও শুমারির কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের সঙ্গ কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
দেশে প্রথমবারের মতো শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া এই শুমারি চলবে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এর অংশ হিসেবে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতেও চলছে মিয়ানমার নাগরিক শুমারির কাজ। অপর জেলাগুলো হলো, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও পটুয়াখালী।
এ লক্ষে খাগড়াছড়িকে ২০টি জোনে ভাগ করে ২০ জন জোনাল অফিসার, ৩৭ জন সুপারভাইজার এবং ৩৬৫ জন তালিকা প্রণয়নকারী বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছেন।
অনিবন্ধিত মিয়ানমারের নাগরিক শুমারির খাগড়াছড়ি পৌর শহরের জোনাল অফিসার এ এইচ এম বেলাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা প্রত্যেক বাড়িতে যাচ্ছি। শুমারিকালে বাড়ির কর্তার নাম, পরিবারের সদস্য সংখ্যাসহ বেশকিছু তথ্য সংগ্রহ করে একটি করে সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করছি।
যদি কোনো বাড়িতে গিয়ে বসবাসরতদের মিয়ানমারের নাগরিক বলে সন্দেহ হয় তবে লাল কালিতে সাংকেতিক চিহ্ন দিচ্ছি। পরের শুমারিতে শুধু লাল কালির সাংকেতিক চিহ্ন দেওয়া বাড়িগুলোতে শুমারি করা হবে।
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি জেলা পরিসংখ্যার কার্যালয়ের উপপরিচালক এ এইচ এম ওহিদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ১২ তারিখ থেকে শুরু করে ৬ দিনব্যাপী তথ্য সংগ্রহ করবো। পরে সব তথ্য ঢাকায় পরিসংখ্যান কার্যালয়ে পাঠানো হবে।
তিনি জানান, প্রথম ধাপে তথ্য সংগ্রহকালে মিয়ানমারের নাগরিক বলে সন্দেহভাজনদের বাড়িতে দ্বিতীয় ধাপে শুমারি করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৬
এসআর