সিলেট: সিলেট নগরীর বিভিন্ন মার্কেট-রেস্তোরাঁ ও হোটেল প্রতিষ্ঠানে অনুমোদনবিহীন ডিপ টিউবওয়েলের সন্ধানে অভিযান চালিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) পরিচালিত মোবাইল কোর্ট।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- জিন্দাবাজারের আলহামরা শপিং সিটি, সিটি সেন্টার, লতিফ সেন্টার, জিন্দাবাজারের চায়নিজ রেস্তোরাঁ চিয়াং মাই, দরগা গেইট এলাকার হোটেল জালালাবাদ ও হোটেল মনোরমসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান ।
জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্টেট জিয়াউল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিযানে সিসিকের পানি শাখার প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর, পানি শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুনীল মজুমদার, ডিএ অফিসার মিন্টু সিংহ, নলকূপ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন, লিটন মিয়া, সোহেল আহমদ, কবির হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানের শুরুতে মহানগরীর তাঁতীপাড়া এলাকার বাসাবাড়িতে যায় টিম। এরপর অভিযান চালিয়ে জিন্দাবাজার এলাকায় যায় মোবাইল কোর্ট। এ সময় বাসাবাড়ির পাশাপাশি হোটেল-রেস্তোরাঁ ও মার্কেটে মার্কেটে গিয়ে পানির অবৈধ লাইনের খোঁজ চালায় মোবাইল টিম।
অভিযানকালে আলহামরা শপিং সিটিতে অনুমোদনবিহীন ডিপটিউবওয়েল এর সন্ধান পায় মোবাইল টিম। এ সময় আল হামরা কর্তৃপক্ষকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও আলহামরার ডিপটিউবওয়েল (৪ ইঞ্চি সাইজের) অনুমোদন ফি বাবদ ১ লাখ টাকার চালান কাটা হয়।
একইভাবে সিটি সেন্টারের (৩ ইঞ্চি সাইজের) ডিপটিউবওয়েল অনুমোদন ফি বাবদ ৭০ হাজার টাকা চালান, লতিফ সেন্টারের (২ ইঞ্চি সাইজের) ডিপটিউবওয়েল অনুমোদন ফি বাবদ ৩৫ হাজার টাকা চালান কাটা হয়।
জিন্দাবাজারের ওভারসিজ সেন্টারের চিয়াং মাই রেস্টুরেন্টকে ১শ’ টাকা জরিমানা এবং ডিপটিউবওয়েল (২ ইঞ্চি) এর অনুমোদন ফি বাবদ ৩৫ হাজার টাকা এবং দরগা গেইট এলাকার হোটেল মনোরম ও রেস্টুরেন্টকে ২ হাজার টাকা জরিমানা ও ডিপটিউবওয়েল অনুমোদন ফি বাবদ ৩৫ হাজার টাকা এবং দরগাগেইটের হোটেল জালালাবাদ-এ অনুমোদনবিহীন ডিপটিউবয়েল থাকায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনুমোদন ফি বাবদ ৩৫ হাজার টাকা (সাইজ ২ ইঞ্চি) চালান কাটা হয়।
এদিকে অভিযানকালে একাধিক বাসাবাড়ির মালিক অনাদায়ী বিল হিসেবে প্রায় ১৯ হাজার টাকা সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করেন।
সিসিকের পানি শাখার প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর জানান, বাসাবাড়ির পাশাপাশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অবৈধ পানির সংযোগ খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অনাদায়ী পানির বিল আদায়ের লক্ষ্যে এই মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, সিলেটের যেসব মার্কেট-রেস্তোরাঁ-হোটেলসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান অনুমোদনবিহীন ডিপটিউবওয়েল নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে আইন অনুযায়ী আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযানকালে সহযোগিতা করায় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৬
এএএন/আরআই