রাজশাহী: রাজশাহীর আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে পবায় নির্যাতিত ২ শিশু জাহিদ হাসান ও ইমন।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজশাহীর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আব্দুস সালাম তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
পরে তাদের শিশু আদালতে হাজির করে স্বাক্ষ্যগ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হায়দার আলী সরকার। স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে স্বজনদের জিম্মায় দেওয়া হয় জাহিদ ও ইমনকে।
রাজশাহী শিশু আদালতের এপিপি পূর্ণিমা ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের জানান, গত বৃহস্পতিবার শিশু আদালতের বিচারক হায়দার আলী সরকার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শিশু জাহিদ ও ইমনের জবানবন্দি রেকর্ড করার আদেশ দেন। ওই আদেশের প্রেক্ষিতে দুপুর দেড়টার দিকে রাজশাহী মেডিকলে কলেজ হাসপাতাল থেকে তাদের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজির করা হয়। পরে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিচারক আব্দুস সালাম তাদের দুইজনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
রাজশাহী মহিলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট শামিমা ইয়াসমিন শিখা বলেন, নির্যাতিত শিশু জাহিদ ও ইমনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ ও তাদের স্বজনদের জিম্মায় দেওয়ার জন্য মহিলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে আদালতে আবেদন করা হয়। পরে এই আবেদনের প্রেক্ষিতে শিশু আদালতের বিচারক হায়দার আলী সরকার তাদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে জাহিদকে তার বাবা ইমরান আলী ও ইমনকে তার মামা মিঠুর জিম্মায় দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি মোবাইল ফোন চুরির সন্দেহে দুই শিশুকে পবা উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামে রাকিবের বাড়িতে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হয়। বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নির্যাতনের পর ছেড়ে দেওয়া হলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বর্তমানে তারা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় পরের দিন জাহিদের বাবা ইমরান আলী বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এখন পর্যন্ত আদালত থেকে আটজন জামিন পেয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৬
এসএস/বিএস