ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শিশুর পড়ায় আনন্দ দিতে হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৬
শিশুর পড়ায় আনন্দ দিতে হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা: ‘ছেলে-মেয়েকে সারাক্ষণ বলা হয়-পড়, পড়। সত্যি বলতে গেলে-তখন আর পড়তে ইচ্ছে করে না।

বাচ্চাদের বেশি চাপ দিলে তারা পরবর্তীতে আর ভালো করতে পারে না। বাচ্চাদের ওপর বেশি চাপ দেওয়া যাবে না। তাদের পড়াটাকে আনন্দমুখর করে তুলতে হবে। '

রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারেকটিভ মাল্টিমিডিয়া ডিজিটাল কনটেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সবাই যে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করবে তা কিন্তু নয়। তাই তাদের পড়ার জন্য বেশি চাপ দেওয়া যাবে না। খেলা আর আনন্দের ছলে তাদের পড়াতে হবে। শুধু বই পড়ে পড়ে শিক্ষা, আর চোখে দেখে শিক্ষা অনেক তফ‍াৎ রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘শিশুদের উৎসাহ আর আনন্দ দিতে আমরা প্রাথিমক সমাপনীতে সার্টিফিকেট দিয়েছি। আগে ক্লাস ফাইভে কিছু ছেলে-মেয়েকে বেছে নিয়ে বৃত্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হতো। এখন সমাপনী পরীক্ষার মাধ্যমে সবাইকে বৃত্তির আওতায় আনা হয়েছে।

বাচ্চাদের কাছ থেকে ভালো শেখা যায়, তাদের কাছে পৃথিবী এখন উন্মুক্ত। তারা অনেক কিছু শিখছে। আর এভাবেই তারা বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

‘মেধার দিক থেকে আমাদের শিশুরা অনেক বেশি মেধাবী’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি নির্ভর করে গড়ে তুলতে ডিজিটাল ক্লাস করে দেওয়া হচ্ছে।

‘এখন একটা ল্যাপটপ কিনতে বেশি টাকা লাগে না। এসব আমরা সহজ করে দিয়েছি। আমরা সারা বাংলাদেশে সব কিছু ডিজিটাল করে দিয়েছে। সব কিছু এখন সহজ হয়ে গেছে। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিগ্রি পর্যন্ত যাতে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করতে পারে, তার জন্য আমারা বৃত্তির ব্যবস্থা করেছি। সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা করছে ছেলেমেয়েরা।

শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের স্বাক্ষরতা ৭১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য শতভাগে উন্নীত করা। আমরা চাই ছেলে-মেয়েরা উন্নত জীবন-যাপন করুক।

‘যেহেতু বাচ্চারা এ যুগে জন্ম নিয়েছে। ফলে তাদের মেধা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি,’ বলেন শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৬
এমইউএম/এমএ/টিআই/

**  আজকের শিশুরা আগামী দিনের শিক্ষক
** প্রাথমিকের উন্নয়নে কাজ করছে সরকার

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।