খুলনা: ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে খুলনার আদালতে ১৫ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) আলাদাভাবে দু’জন ছাত্রলীগ নেতা বাদী হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য সম্বলিত সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে মামলা দু’টি দায়ের করেন।
এর মধ্যে একটি মামলায় আদালত মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। অন্য মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এ নিয়ে মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে খুলনায় মানহানির তিনটি মামলা দায়ের করা হলো।
আদালত সূত্র জানান, ১০ কোটি টাকার মানহানি দাবি করে খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিমের আমলি আদালত ‘ক’ অঞ্চলে মামলা করেন খুলনা জেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মো. তসলিম হুসাইন তাজ। আদালতের বিচারক আয়শা আক্তার মৌসুমী মামলাটি তদন্তের জন্য খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। ২৮ মার্চ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
অপরদিকে, ৫ কোটি টাকা মানহানির অভিযোগে খুলনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আমলি আদালত ‘ক’ অঞ্চলে অপর মামলাটি করেছেন জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও রূপসা উপজেলা শাখার আহ্বায়ক মো. পারভেজ হাওলাদার। আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল হোসেন এ মামলায় মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। ২৯ মার্চ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ডিজিএফআই’র সরবরাহ করা তথ্য যাচাই-বাছাই না করেই ডেইলি স্টারে সংবাদ পরিবেশন করা হয়। এ কারণে তৎকালীন সময় শীর্ষ রাজনীতিকদের প্রতি জনগণের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এছাড়া ওই মিথ্যা সংবাদের কারণে শেখ হাসিনাকে দীর্ঘ দিন কারাভোগ ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন ও হয়রানির শিকার হতে হয়। এতে বাদী ও তাদের সংগঠনের ১৫ কোটি টাকার মানহানি ঘটেছে।
দু’টি মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ জানান, একটি মামলায় আদালত মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। অন্য মামলাটি নির্দেশ দিয়েছেন তদন্তের।
৯ ফেব্রুয়ারি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান সাগর বাদী হয়ে মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে এক কোটি টাকার মানহানির অভিযোগে খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিমের আমলী আদালত ‘ক’ অঞ্চলে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের জন্য খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেন। ৩ মার্চ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা,ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৬
এমআরএম/এএ