ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নোয়াখালীতে ৩ শিক্ষার্থীকে পিটিয়েছে অধ্যক্ষ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৬
নোয়াখালীতে ৩ শিক্ষার্থীকে পিটিয়েছে অধ্যক্ষ

নোয়াখালী: বিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত পোশাকের সঙ্গে নির্ধারিত জুতা পরে না যাওয়ায় নোয়াখালীতে সাইন্স অ্যান্ড কমার্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আফতাব উদ্দিন তিন শিক্ষার্থীকে বেদম পিটিয়েছে।

এ ঘটনায় ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।



রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন নোয়াখালী সাইন্স অ্যান্ড কমার্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।

গুরুতর আহত শিক্ষার্থীরা হলো, নবম শ্রেণির ছাত্র মাহবুবুর রহমান আকিব, ইয়ামিনসহ তিনজন। আহত শিক্ষার্থীদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সহপাঠী শিক্ষার্থীরা বাংলানিউজকে জানায়, নোয়াখালী সাইন্স অ্যান্ড কমার্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী মাহবুবুর রহমান আকিব, ইয়ামিন ও অন্য এক শিক্ষার্থী এক সপ্তাহ আগে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এসে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়।

রোববার ওই তিন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের নির্ধারিত পোশাক পরে এলেও কালো জুতার পরিবর্তে ধূসর বর্ণের জুতা পরে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে। এতে অধ্যক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে তিনজনকে বেদম মারধর করে জখম করে।

আহত শিক্ষার্থী আকিবের বাবা আবুল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, জুতা কিনতে দেরি হওয়ায় আকিব কালো জুতার পরিবর্তে ধূসর বর্ণের জুতা পরে বিদ্যালয়ে যায়। তার সঙ্গে আরো দুই সহপাঠিও অন্য জুতা পরে স্কুলে আসে। এটাকে অপরাধ হিসেবে নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আফতাব উদ্দিন শ্রেণিকক্ষে ঢুকে তিনজনকে বেত্রাঘাত করে গুরুতর আহত করেন। আহত শিক্ষার্থীদের হাত, পা ও পিঠের বিভিন্ন স্থানে রক্ত জমাট হয়ে গেছে।

এ ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা রোববার বিকেলে নোয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল ইসলামের কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।

অধ্যক্ষ আফতাব উদ্দিন তিন শিক্ষার্থীকে মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে বাংলানিউজকে জানান, শিক্ষার্থীদের মানুষ করার জন্য হালকা ভাবে শাসন করা হয়েছে। এটা বিদ্যালয়ের পাঠদান ও শৃঙ্খলার একটি অংশ।

সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামীমা আক্তার বাংলানিউজকে জানান, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের বেত্রাঘাত না করার জন্য সরকার নীতিমালা করলেও এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান তার কোনো তোয়াক্কা না করে তাদের পিটিয়েছে।

ইতোপূর্বেও তার বিরুদ্ধে এ ধরনের কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তার দপ্তরে এসেছে। তিনি কোনো আইন মানতে রাজী নন। তিনি স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছেন। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অবহিত করবো।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে বেত্রাঘাত করার কোনো নিয়ম নেই। এ ব্যাপারে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৬
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।