ঢাকা: নির্বাচনে ভোট গণনার পদ্ধতি নিয়ে একমত হতে না পারায় ঢাকা বারের প্রধান নির্বাচন কমিশনার শাহ আলম খানসহ একযোগে পদত্যাগ করেছেন আট নির্বাচন কমিশনার।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর ঢাকা বারের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকীর কাছে তারা এ পদত্যাগপত্র জমা দেন।
নির্বাচন কমিশনারদের পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ওমর ফারুক ফারুকী বাংলানিউজকে বলেন, তারা পদত্যাগপত্র জমা দিলেও তা এখনও গৃহিত হয়নি। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বারের অভিভাবক হিসেবে পরিচিত সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের জরুরি বৈঠকে বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে। এরপরই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা বারের একজন নির্বাচন কমিশনার বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকা বারের ২৭টি পদে প্রায় ১৫ হাজার আইনজীবী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এ বিপুল সংখ্যক ভোট গণনার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রয়োজনীয় লোকবল নেই। তাই এবার ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে ভোট গণনার প্রস্তাব করেন নির্বাচন কমিশনাররা। ঢাকা বারের বাজেটেও ইলেক্ট্রনিক ভোট গণনার বিষয়ে আলাদা বাজেট রাখা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ এ পদ্ধতিতে ভোট গণনায় রাজি থাকলেও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের নেতারা এর বিপক্ষে অবস্থান নেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে এই অল্প সময়ে গতানুগতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন পরিচালনা সম্ভব নয় বলে তারা পদত্যাগ করেছেন।
তিনি আরও জানান, নির্বাচন কমিশনের ১১ সদস্যের মধ্যে আটজন পদত্যাগপত্র জমা দিলেও বাকি তিনজনও পদত্যাগে রাজি আছেন। উপস্থিত না থাকায় তারা পদত্যাগপত্র দিতে পারেননি।
উল্লেখ্য, আগামী ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে নির্বাচন কমিশনারদের এ পদত্যাগ এ নির্বাচনকে অনিশ্চয়তার দিকেই ঠেলে দিয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৬
এমআই/আরএইচ