রাজশাহী: ফাগুনের আগুন ঝরা দিনে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে পদ্মাপারের রাজশাহী। সূর্য মামারও সাধ্য হয়নি ঘন কুয়াশার সেই বৃত্ত ছেদ করার।
হলুদিয়া বসন্তের পিচঢালা সড়কগুলো আজ ভিজিয়েছে সদ্য বিদায় নেওয়া মাঘের ছেড়ে যাওয়া শিশিরবিন্দুগুলো।
দৃষ্টিসীমা নেমে এসেছে ২০০ মিটারের মধ্যে। তাই তীব্র শীতের কনকনানি না থাকলেও রয়েছে পথ চলার দুর্ভোগ। বিশেষ করে ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পৌঁছে দিতে গিয়ে অভিভাবকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। যাবাহনের জন্য কষ্ট হয়েছে অফিসমুখিদেরও।
দুর্ঘটনা এড়াতে ভোর থেকে সড়ক-মহাসড়কগুলোতে ছোট-বড় যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে হচ্ছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। বেলা যতই বাড়ছে কুয়াশাও যেন আড়মোড়া দিয়ে প্রকৃতির সব কিছুকে কোলের মধ্যে টেনে নিচ্ছে।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় বাংলানিউজকে জানান, মাঘের শেষে এমন কুয়াশা পড়া স্বাভাবিক ব্যাপার। এই কুয়াশা শীতের বিদায় বার্তার জানান দিচ্ছে। কুয়াশার ঘোর কাটলেই রোদের তীব্রতা দ্বিগুণ বাড়বে।
এক প্রশ্নের জবাবে লতিফা হেলেন বলেন, রাজশাহী অঞ্চলে শীতের দাপট কমে গেছে এক সপ্তাহ আগেই। দিনে স্বাভাবিকভাবে তাপমাত্রা বিরাজ করলেও রাত ও ভোর বেলায় শীত অনুভূত হচ্ছে। তবে রাতে তাপমাত্রা কমলেও সোমবার সকাল ৬টায় রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই সঙ্গে পড়ছে ঘন কুয়াশা। তাই সকাল ৯টা পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি বলে জানান তিনি।
এদিকে, অব্যাহতভাবে এমন ঘন কুয়াশা পড়লে কৃষিতে ক্ষতির আশংকা করছেন এ অঞ্চলের কৃষক। বরাবরই শীতে বোরো বীজতলা ও রবি ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে কোল্ড ইনজুরি ও পচনসহ মড়ক বেড়ে যায়। তবে পরস্থিতি মোবাবেলায় এখন যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক দেব দুলাল ঢালী।
এ নিয়ে মাসজুড়ে তারা রাজশাহীর কৃষকদের সব ধরণের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৬
এসএস/বিএস