ঢাকা: লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা আলামত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গেছে দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা-এফবিআই। তাই মামলার তদন্ত কাজ ধীর গতিতে এগোচ্ছে।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম সাংবাদিদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ১১টি আলামতের ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে না পাওয়ায় মামলার তদন্ত কাজ ধীরগতিতে চলছে।
‘অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের পর এফবিআই ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহীত আলামতসমূহ পরীক্ষা করে বাংলাদেশ সরকারকে বিনামূল্যে এর রিপোর্ট দেবে। ’
অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, এ প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর গ্রেফতার আসামিদের ডিএনএ প্রোফাইলের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে।
তিনি জানান, এফবিআইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশের আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ চলছে। আলামতে এরইমধ্যে এফবিআই কয়েকজনের ডিএনএ প্রোফাইল পেয়েছে।
‘পরীক্ষার প্রক্রিয়া শেষ হলে এফবিআই সব রিপোর্ট একসঙ্গে দেবে,’ বলেন মনিরুল ইসলাম।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের কেউ-ই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।
‘তাছাড়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের জড়িত থাকার বিষয়টি সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ’
তিনি বলেন, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডে কমপক্ষে আরও সাতজন আসামি জড়িত রয়েছেন। তাদের গ্রেফতার করতে পারলে তারা সত্যিই আনসারুল্লাহর প্রধান জসীম উদ্দিন রহমানির অনুসারী ছিলেন কিনা-সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় খুন হন মুক্তমনা ব্লগের ব্লগার ও বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৬, আপডেট: ১৫৪৭ ঘণ্টা
এসজেএ/ওএইচ/এমএ