ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পবায় কিশোর নির্যাতনের ঘটনায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৬
পবায় কিশোর নির্যাতনের ঘটনায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ

রাজশাহী: রাজশাহীর পবা উপজেলার চৌবাড়িয়ায় দুই কিশোর নির্যাতনের ঘটনায় নতুন করে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তাই নির্যাতনকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।



সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে একটা পর্যন্ত রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়ক অবরোধ করে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

রাজশাহীর পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বেলা ১২টার দিকে উপজেলার দুয়ারি মোড়ে চৌবাড়িয়া গ্রামের শতাধিক মানুষ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়ক অবরোধ করেন। এসময় কিশোর জাহিদ ও ইমনের নির্যাতনকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।

প্রায় একঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ রাখার পর বিক্ষোভকারীরা পুলিশের অনুরোধে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এর আগে শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মোবাইল চুরির অভিযোগে বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত জাহিদ হাসান (১৫) ও ইমন (১৩) নামের দুই কিশোরকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে রশি দিয়ে বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তার ভিডিও ধারণ করা হয়।

আহত দুই কিশোরের মধ্যে শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাহিদ হাসানকে পবা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।

এছাড়া ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া ইমনকে রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে পবার সুন্দলপুর গ্রামে নানার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে পবা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাহিদ হাসানের বাবা ইমরান আলী পবা থানায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর আসামিদের মধ্যে আজিজুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার অপর ১২ আসামি হচ্ছেন- নাসির উদ্দিন, মো. সাগর (পুলিশ কনস্টেবল), চৌবাড়িয়া গ্রামের রাকিব, তার বাবা ফজলু মিঞা, স্থানীয় পলাশ, তুহিন, কমল, রাজ্জাক, সামাদি, অনিক, উজ্জ্বল ও নাসিম।

নির্যাতনের শিকার জাহিদ হাসান পবার বাগসারা এলাকার মো. ইমরানের ছেলে। সে বাগসারা উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। নির্যাতনের শিকার অপর স্কুলছাত্র ইমন তার সহপাঠী।

ঘটনার দিন রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়ক থেকে আসামিরা জাহিদকে ধরে নিয়ে যান। তারা চৌবাড়িয়া গ্রামের ফজলু মিঞার ঘরের বিছানায় ফেলে হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে জাহিদ ও ইমনকে নির্যাতন শুরু করেন।

 জাহিদকে ধরে আনার আগেই ইমনকে ধরে আনা হয়। চুরির স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য রাত ১০টা পর্যন্ত তাদের নির্যাতন করা হয়। স্বীকারোক্তির বক্তব্য রেকর্ড করে রাখার জন্য নির্যাতনের ওই দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করা হয়।

কিন্তু জাহিদ মোবাইল চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার না করায় তার বাবা ইমরানের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়। পরে জাহিদকে গুরুতর আহত অবস্থায় পবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৬
এসএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।