জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: রাষ্ট্রায়ত্ত ২২টি (শাখাসহ) বস্ত্রকলের মধ্যে ১২টি কলই সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে ৭টি সার্ভিস চার্জে চালু রাখা হয়েছে।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক এসব কথা বলেন।
সংরক্ষিত নারী আসনে সরকারী দলের সংসদ সদস্য পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে রাষ্ট্রের মালিকানাধীন বস্ত্র কলের সংখ্যা ১৮টি (শাখাসহ ২২টি)। এর মধ্যে বন্ধ রয়েছে যশোরের বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলস-১, চট্টগ্রামের ভালিকা উলেন মিলস, চট্টগ্রামের আমিন টেক্সটাইলস নং-১, ফেনীর দোস্ত টেক্সটাইল মিলস, কুড়িগ্রাম টেক্সটাইল মিলস, টাঙ্গাইল কটন মিলস-১, টাঙ্গাইল কটন মিলস-২, দিনাজপুর টেক্সটাইল মিলস, চট্টগ্রামের আর আর টেক্সটাইল মিলস, গাজীপুরের কাদেরিয়া টেক্সটাইল মিলস, মাগুড়া টেক্সটাইল মিলস এবং সিলেট টেক্সটাইল মিলস।
মন্ত্রী জানান, সার্ভিস চার্জে চালু থাকা ৭টি কলের মধ্যে রয়েছে-যশোরের বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলস-২, সাতক্ষীরার সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস-১, সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস-২, রাজশাহী টেক্সটাইল মিলস, নীলফামারীর দারোয়ানী টেক্সটাইল মিলস, চট্টগ্রামের আমিন টেক্সটাইলস নং-২ এবং রাঙ্গামাটি টেক্সটাইল মিলস। আহমেদ বাওয়ানী টেক্সটাইল মিলের উইভিং, ডাইং ও প্রিন্টিং বিভাগ ভাড়ায় আংশিক চালু রয়েছে। আর খুলনা টেক্সটাইল মিলস ও নারায়ণগঞ্জের চিত্তরঞ্জন কটন মিলস এ দু’টি টেক্সটাইল পল্লি স্থাপনের প্রক্রিয়া রয়েছে।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জানান, বিগত অর্থ বছরে কোনো মিলই লাভের মুখ দেখেনি। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বস্ত্রকলগুলোকে আধুনিক ও সময়োপযোগী করে তোলার লক্ষ্যে বন্ধ কলগুলো চালু করার জন্য বিটিএমসি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীর মাধ্যমে নতুন আঙ্গিকে আধুনিক মেশিনারি দিয়ে পরিচালনার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে।
‘এই পরিকল্পনার আওতায় দেশি-বিদেশি ১৪টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৬
এসএম/এমএ