পাবনা: পাবনা সদর উপজেলার হাড়িয়াবাড়ি গ্রামে এক সন্তানের জননী শম্পা খাতুনকে (২৫) শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
ঘটনার পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
নিহত শম্পা সদর উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
নিহতের দাদা আলাউদ্দিন সরদার বাংলানিউজকে জানান, পাঁচ বছর আগে সদর উপজেলার মালঞ্চী ইউনিয়নের হাড়িয়াবাড়ি গ্রামের মোস্তফা মিয়ার ছেলে জাহিদ হোসেনের সঙ্গে শম্পার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই শম্পাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল জাহিদ ও তার পরিবারের লোকজন।
সোমবার দিবাগত রাতে জাহিদ ও তার পরিবারের লোকজন শম্পাকে তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দেয়। শম্পা তাদের কথায় রাজি না হওয়ায় সবাই মিলে শম্পাকে বেধরক মারধর করে ও পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শম্পার মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ব্যাপারে নিহতের বাবা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় স্বামী জাহিদ, শ্বশুর-শাশুড়িসহ পাঁচজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল হাসান বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, শম্পাকে শ্বাসরোধ করেই হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৬
আরএ/