জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: সন্ত্রাস ও সহিংস জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (এএইচ মাহমুদ আলী) এ তথ্য জানান।
এদিন বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দশম জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনের ১৯তম কার্য দিবস শুরু হয়।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ((ঢাকা-৫) হাবিবুর রহমান মোল্লার এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস ও সহিংস জঙ্গিবাদ দমনে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করেছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডকে যাতে কেউ সন্ত্রাস বা জঙ্গিবাদ সম্পর্কিত কোনো কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করতে না পারে এবং এ ধরনের কার্যকলাপে কোনো দেশ বা সংগঠন যাতে আর্থিক সহযোগিতা না করে সে ব্যাপারে সরকার সবসময়ই বদ্ধপরিকর।
‘সন্ত্রাস ও সহিংস জঙ্গিবাদ দমন এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধে আমরা মুসলিম দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বি-পক্ষীয় পর্যায়ে পারস্পরিক সহযোগিতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ’
তিনি বলেন, সম্প্রতি আমরা সৌদি আরবের নেতৃত্বে ৩৪টি মুসলিম দেশের সমন্বয়ে গঠিত সন্ত্রাস ও সহিংস জঙ্গিবাদ বিরোধী কেন্দ্রে যোগ দিয়েছি। এসব উদ্যোগে সম্পৃক্ত থাকার পাশাপাশি সন্ত্রাস ও সহিংস জঙ্গিবাদ দমনে সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯; মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২; পারস্পরিক সহায়তা আইন ২০১২সহ বেশ কয়েকটি শক্তিশালী আইন প্রণয়ন করেছে।
এএইচ মাহমুদ আলী বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার মধ্য দিয়ে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় শুধু মুসলিম সম্প্রদায় নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যেকোনো শুভ উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাওয়ার ক্ষেত্রে সরকার সচেষ্ট থাকবে।
সংরক্ষিত-৬ আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা বেগমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবেলায় দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে আমরা সচেষ্ট আছি।
‘একই সঙ্গে এসব ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখতেও নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের সীমান্তকে শান্তির সীমান্তে পরিণত করাও পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম লক্ষ্য। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৬
এসএম /এমএ