দুবলার চর থেকে: মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহকারী জেলেদের জন্য বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা থাকলেও সকল জেলে সে ভাতার মুখ দেখতে পারে না।
শুধু তাই-ই নয়, মৎস্য আহরণের সঙ্গে জড়িত মূল শ্রমিকেরাই সে ভাতা থেকে বঞ্চিত।
জেলেদের অভিযোগ, স্থানীয় নেতাদের ইচ্ছেমত মৎস্য কর্মকর্তারা এই কার্ড বিতরণ করে থাকেন। আর কার্ডের পরিমাণও পর্যাপ্ত না হওয়ায় বেশিরভাগ জেলে এর আওতার বাইরে থাকেন। ফলে বাধ্য হয়েই মানবেতর জীবন যাপন করতে হয় তাদের। তার উপর মহাজনের দাদন এবং এনজিও ঋণের চড়া সুদের চাপ তো থাকেই।
এদিকে একেকটি জেলের নৌকায় কমপক্ষে ৫-৭ জন মৎস্য শ্রমিক কাজ করে থাকেন। মূলত: তারাই সাগরে মাছ ধরার থেকে মাছের প্রক্রিয়াজাতকরণ পর্যন্ত সবগুলো কাজ করে থাকেন। অথচ তারা সরকারি কোন ভাতা পান না। জেলে হিসেবে তাদের কোন স্বীকৃতিও নেই। শ্রমিক হিসেবে তাদের গণ্য করা হয়। এর ফলে তাদেরকে নিয়োগকর্তা জেলের দানের উপরই নির্ভর করতে হয়।
দুবলার চরের জেলেরা জানান, সরকারের কাছ থেকে ৩০ কেজি করে চাল ছাড়া আর কোন সুবিধা পাওয়া যায় না। এই চাল নিজের শ্রমিকদের আর্থিক অবস্থা অনুযায়ী বিলি বণ্টন করেই চলতে হয়। এদিকে শুধু চাল দিয়ে জীবন চালানোও বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে যায়।
এ বিষয়ে সরকারের সহায়তা প্রাপ্ত রামপালের জেলে জিন্নাত আলী শেখ বাংলানিউজকে বলেন, রামপালে অন্তত চারশ’ জেলে আছে। অথচ সরকারের ভাতা পায় মাত্র ৩০ জন। আর এই ভাতা বলতে মাত্র ৩০ কেজি করে চাল। যা দিয়ে নিজেদের সংসার আর শ্রমিকদের নিয়ে চলা খুব কষ্টের। শুধু চাল খেয়ে কি আর জীবন চলে?
মৎস্য শ্রমিক হারুন আলী বলেন, জেলেরা অনুমতি না পেলে নৌকা সাগরে নামা পারে না। আমরাও কাজ পাই না। এই সময়গুলো মালিকের মুখের দিকে তাকিয়েই দিন চলে।
হারুণের মত শ্রমিকেরা জেলেদের পাশাপাশি মৎস্য শ্রমিকদের জন্য ভাতার দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২২১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৬
জেপি/আরআই