ঢাকা: আবহমান কাল ধরেই গ্রামবাংলার লোকজ সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে পরিচিত নবান্ন উৎসব। বাংলার কৃষিজীবী সমাজে শস্য উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ে যে সব আচার-অনুষ্ঠান হয়ে থাকে, তার মধ্যে এ উৎসব বিশেষ গুরুত্ববহন করে।
বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) অগ্রহায়ণ মাস শুরু হচ্ছে। অগ্রহায়ণের শুরুতেই নবান্ন উৎসবের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায়।
প্রতি বছরের মতো এবারও বকুলতলায় নবান্ন উৎসব উদযাপন করা হবে। এখানে রাতভর চলছে মঞ্চ তৈরি ও সাজসজ্জার কাজ। রাত পোহালেই শুরু হবে নবান্ন উৎসব। নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ এই নবান্ন উৎসব। আর মঞ্চের সাজসজ্জাও সেই ঐতিহ্যকে ধারণ করেই।
নবান্নে কৃষকের ঘরে শস্য তোলা বিশেষ করে ধান কাটার ধুম পড়ে যায়। এই ধান কাটার উৎসবকে কেন্দ্র করে এক সময় গ্রামবাংলায় বসতো পালাগান ও জারিগানের আসর। সেই সঙ্গে ঘরে-ঘরে পড়ে যেত পিঠা ও পায়েস তৈরির ধুম।
বাঙালির সেই ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে লালন করে প্রতি বছর রাজধানীতে উদযাপন হয় নবান্ন উৎসব। মঙ্গলবার পহেলা অগ্রহায়ণ সারাদিন উদযাপিত হবে উৎসবটি। একই সঙ্গে রাজধানীর দুইটি আঙিনায় অনুষ্ঠিত হবে এ উৎসব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় ও ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবর মুক্তমঞ্চে নাচ-গান, কবিতা ও কথায় স্বাগত জানান হবে এ নবান্নকে। জাতীয় নবান্ন উৎসব উদযাপর পর্ষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। মঙ্গলবার চারুকলার বকুলতলায় সকাল ৭টা ১ মিনিট থেকে সকালের অনুষ্ঠানমালা শুরু হবে।
এবারের নবান্ন উৎসব উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সকাল ৯টায় চারুকলা থেকে নবান্ন শোভাযাত্রা বের করার মাধ্যমে শেষ হবে প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান।
দ্বিতীয় পর্ব একযোগে ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবর মুক্তমঞ্চ ও চারুকলার বকুলতলায় বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে নানা কর্মসূচি। এ পর্বে সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি, আদিবাসী পরিবেশনাসহ বিভিন্ন পরিবেশনা থাকবে। থাকবে ঢাক-ঢোলের বাজনা আর মুড়ি-মুড়কি-বাতাসা ও পিঠার পসরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৫১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৬
এসকে/টিআই