খুলনা: নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো খুলনায় পালিত হচ্ছে নবান্ন উৎসব-১৪২৩। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে খুলনা শহীদ হাদিস পার্কে দিনব্যাপী মেলা ও পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
খুলনা সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
হাদিস পার্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদ বলেন, নবান্ন উৎসব বাঙালি সংস্কৃতির সার্বজনীন ঐতিহ্য। পহেলা অগ্রহায়ণকে নবান্ন উৎসব হিসেবে ঘোষণা করছে সরকার। আগামী বছর আমরা কোনো এক গ্রামে চলে যাবো, বটগাছের নিচে বসে নবান্ন উৎসব করতে। সেটি হবে মানুষের কাছাকাছি যাওয়া।
তিনি আরও বলেন, যখন হেমন্ত ঋতু আসছে, তখন বাংলাদেশ হাসছে এবং কৃষকের মুখে হাসি ফুটছে। কারণ ফসলে দেশ ভরে উঠছে। আমাদের দেশ হচ্ছে কৃষিভিত্তিক সমাজ। মানুষের প্রথম পেশা হলো কৃষি এবং আদিম সভ্যতা। সুগন্ধি চাল বেশি বেশি চাষ করে আমরা বিদেশে পাঠাতে পারি। নবান্ন বাঙালি জাতির অন্যতম উৎসব।
আবদুস সামাদ বলেন, লোক ঐতিহ্য এবং লোক সংস্কৃতি নির্ভর আমাদের সংস্কৃতি যাতে আকাশ সংস্কৃতির আগ্রাসনে হারিয়ে না যায় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। বাঙালি জাতি শেকড়ের সন্ধানে খুঁজে পেতে সার্বজনীন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আবহমান কাল থেকে গ্রাম বাংলার মানুষের অন্যতম নবান্ন উৎসব হিসেবে প্রচলিত রয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান এতে সভাপতিত্ব করেন। এসময় পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্যা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং কৃষি স¯প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা এবং শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে খুলনা কালেক্টরেট চত্বর থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ হাদিস পার্কে এসে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা এবং শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৬
এমআরএম/এসএইচ