বেনাপোল (যশোর): খুলনা-বেনাপোল-কলকাতা রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর জন্য বেনাপোল আন্তর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশনে ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ও জিআরপি ভবন নির্মাণকাজে নিম্নমানের খোয়া ও বালু ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে সংশিষ্ট মহল নজর না দিলে পরবর্তীতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা স্থানীয় সচেতন মহলের।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে বেনাপোল রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে তিনটি নতুন ভবন নির্মাণকাজ চলছে। এর মধ্যে কাস্টমস ভবন নির্মাণকাজ করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ঢাকার আফজাল এন্টারপ্রাইজ, ইমিগ্রেশন ভবনের কাজ করছে ঢাকার বেল্লাল এন্টারপ্রাইজ ও জিআরপি ব্যাক নির্মাণ করছে ঢাকার বুলবুল এন্টারপ্রাইজ।
ঘুরে দেখা গেলো, নির্মাণকাজে বেল্লাল এন্টারপ্রাইজ ও আফজাল এন্টারপ্রাইজের কাজে মারাত্মক অনিয়ম রয়েছে। রেলের প্রকৌশলীদের উপস্থিতিতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ট্রাক ও ট্রলিত করে নিম্নমানের বালু, আধলা ও তিন নম্বর ইট এনে খোয়া তৈরি ও ব্যবহার করছে। কিন্তু ঠিকাদারের সহযোগী স্থানীয় প্রভাবশালীদের ভয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা মুখ খুলতে পারছেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্টেশন অফিসার (সিনিয়র উপসহকারী প্রকৌশলী) চাঁদ আহম্মদ প্রথমে অনিয়মের কথা অস্বীকার করেন। পরে ছবি দেখালে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, নিম্নমানের খোয়া আনলেও তা ব্যবহার করা হচ্ছে না।
তিনি দাবি করেন, ঢালাইকাজে ভালো খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে তার নমুনা দেখাতে পারেননি তিনি।
রেলের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কিভাবে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহৃত হচ্ছে তারও কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
রেলের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী বীরবল মন্ডল জানান, তিনটি ভবন নির্মানে বরাদ্দ রয়েছে দুই কোটি ২৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে ইমিগ্রেশন ভবন নির্মানে এক কোটি, কাস্টমস ভবন নির্মাণে এক কোটি ও জিআরপি ব্যাক নির্মাণে ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের কাজ শেষ করার নির্দেশ রয়েছে।
সূত্র জানায়,ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্ব সুদৃঢ় করতে আগামী বছরের জানুয়ারিতে খুলনা-বেনাপোল-কলকাতা রুটে ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত হয়। শুরুতে একটি ট্রেন সপ্তাহে একবার খুলনা থেকে বেনাপোল হয়ে কলকাতা গিয়ে ফিরে আসবে।
নতুন নির্মাণাধীন এসব ভবনে ওই ট্রেনের যাত্রীদের পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।
এদিকে, ট্রেনটি চলাচলের জন্য ভারত অংশে প্রয়োজনীয় অবকাঠানো নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৬
এসআর