বান্দরবান: বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বান্দরবানে পালিত হচ্ছে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব মহাপিণ্ড দান (কঠিন চীবর দান)।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উৎসব উপলক্ষে রাজগুরু বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গণ থেকে ধর্মীয় র্যালি বের হয়।
র্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে করুণাপুর বৌদ্ধ বিহারে গিয়ে শেষ হয়। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষরা কল্পতরু ও চীবর নিয়ে এ র্যালিতে অংশ নেন।
এ উৎসবে অংশ নেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, জেলা পরিষদ সদস্য ক্য সা প্রু মারমা প্রমুখ।
পরে অতিথিরা ভিক্ষুদের চীবর, খাদ্য ও নগদ অর্থসহ আনুষাঙ্গিক বিভিন্ন সামগ্রী দান করেন।
এর আগে শহরের রাজগুরু ক্যাং ও করুণাপুর বৌদ্ধ বিহারে চীবর দান অনুষ্ঠানে ধর্মীয় দেশনা দেন বৌদ্ধ ধাতু জাদির (স্বর্ণমন্দির) প্রতিষ্ঠাতা উ পঞঞ্যা জোত থেরো (উচহ্লা ভান্তে)।
এদিকে, এ উৎসবকে ঘিরে শহরের ক্যাংগুলো সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় চীবর দান উৎসব উপলক্ষে চলছে ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা। পুরো নভেম্বর মাস জুড়ে চলবে এ উৎসব।
নভেম্বর মাসের প্রথম থেকে শহরের রাজগুরু ক্যাং, করুণাপুর বৌদ্ধ বিহার, রামজাদি ও রোয়াংছড়ি বাস স্টেশন বৌদ্ধ অনাথালয় মন্দিরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কঠিন চীবর দান উৎসব।
আষাঢ়ি পূর্ণিমা থেকে শুরু হয় তিন মাসব্যাপী কঠোর ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা। সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, ধর্মসভা, চীবর ও কল্পতরু শোভাযাত্রা, ও আকাশে ফানুস ওড়ানোর মাধ্যমে উৎসব চলতে থাকে। এসব অনুষ্ঠানকে ঘিরে পার্বত্য চট্টগ্রামে চলে বর্ণাঢ্য আয়োজন। মূল অনুষ্ঠানের তিনদিন আগে থেকে শুরু হয় বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অনুষ্ঠানস্থলে আগমন।
এ উৎসবকে কেন্দ্র করে বিহার-প্রাঙ্গণে বসে নৃ-গোষ্ঠীগুলোর ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন লোকজ মেলা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৫
এসআর