ঢাকা: সনাতন পদ্ধতিতে চলছে পশু হাসপাতালের জীবজন্তুদের পরীক্ষার কাজ। ফলে জীবজন্তুদের রোগনির্ণয় সঠিকভাবে করা যাচ্ছে না।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) ফুলবাড়িয়ার ৪৮নং কাজী আলাউদ্দিন রোডে অবস্থিত কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতালে (পশু হাসপাতাল) সরেজমিনে এমনই চিত্র দেখা যায়। ওই পশু হাসপাতালে জীবজন্তুদের পরীক্ষার জন্য আছে দু’টি মেশিন। একটি এক্স-রে ও অন্যটি আল্ট্রাসনোগ্রাম।
মেশিন দু’টি থাকলেও তা অনেক দিনের পুরোনো হওয়ায় রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হয় না বলে জানান ভেটেরিনারি হাসপাতালের (রেডিওলজি বিভাগ) মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মো. রফিকুল ইসলাম রফিক।
টেকনোলজিস্ট রফিকুল বাংলানিউজকে জানান, আমাদের এক্স-রে মেশিনটিতে কম্পিউটার প্রিন্ট করা যায় না। পুরাতন পদ্ধতিতে কেমিক্যালযুক্ত পানিতে চুবিয়ে হাত দিয়ে ঘষে ঘষে ফিল্ম পরিষ্কার করে দেখতে হয়। ফলে রোগ পরিপূর্ণভাবে নির্ণয় করা যায় না। আর আল্ট্রাসনোগ্রাফির মেশিন অনেক দিনের পুরাতন, তাও আবার দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে।
কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতালের চিফ ভেটেরিনারি কর্মকর্তা ডা. আব্দুল হালিম বাংলানিউজকে জানান, নতুন আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিন খুব তাড়াতাড়ি চলে আসছে। অনুমোদন হয়ে গেছে। আর এক্স-রে মেশিন দিয়ে মোটামুটিভাবে কাজ চলছে। এই মেশিনের জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজধানীর লালবাগ থেকে সরাইলের জাতের একটি কুকুরকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য পশু হাসপাতালে এসেছেন মাজাহার নামের এক ব্যক্তি। কুকুরটির চিকিৎসা সেবা শেষ করে বেরিয়ে যাওয়া সময় কথা হয় মাজাহারের সঙ্গে।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, তার কুকুরের পায়ে সমস্যা। ডাক্তাররা এক্স-রে করেছেন। এক্স-রে ফিল্মে ভাল করে রোগ নির্ণয় করা যাচ্ছে না বলে ডাক্তাররাই তাকে জানান। তবুও তার কুকুরটিকে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৬
এএটি/আরআই