ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মহানগর প্রভাতি ও তূর্ণা চায় চট্টগ্রাম, লাল-সবুজের দাবি সিলেটে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৬
মহানগর প্রভাতি ও তূর্ণা চায় চট্টগ্রাম, লাল-সবুজের দাবি সিলেটে ছবি-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বর্তমানে চলাচলরত ট্রেন মহানগর প্রভাতি ও তূর্ণা এক্সপ্রেসের বদলে তুলনামূলক কম লোডের লাল-সবুজ কোচের ট্রেন চায় না চট্টগ্রামের যাত্রীরা। পুর‍ানো সাদা ট্রেনেই যেন তাদের স্বস্তি।

ঢাকা: বর্তমানে চলাচলরত ট্রেন মহানগর প্রভাতি ও তূর্ণা এক্সপ্রেসের বদলে তুলনামূলক কম লোডের লাল-সবুজ কোচের ট্রেন চায় না চট্টগ্রামের যাত্রীরা। পুর‍ানো সাদা ট্রেনেই যেন তাদের স্বস্তি।

অপরদিকে, তূর্ণা এক্সপ্রেসও মহানগর প্রভাতির পুরাতন কোচ নয় নতুন লাল-সবুজের কোচের চাহিদা সিলেট রুটের ট্রেন জয়ন্তিকা, কালনী ও উপবন এক্সপ্রেসের।

বাংলানিউজে মহানগর প্রভাতি ও তূর্ণা এক্সপ্রেসে লাল-সবুজ কোচ দেওয়ার রেলওয়ের সিদ্ধান্তের সংবাদ প্রকাশের পর এমন প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে।

আমিন ফরাজী নামে একজন লিখেছেন, ‘আমার মুগ্ধধারা সাদা কোচ নাকি উঠে যাবে। তার বদলে দেওয়া হবে লাল-সবুজের বিলাসবহুল কোচ। তাও নাকি কম লোডের ট্রেন। আমি বলি কি দরকার। ভালইতো আছে প্রিয় সাদা কোচগুলো। ’

ফেসবুকে ‘একলা পথিক’ ছদ্মনামে একজন বাংলানিউজের নিউজ শেয়ার দিয়ে মন্তব্য জুড়ে দিয়েছেন, ‘আমার এতদিনের লালিত আশা পূরণ হচ্ছে ঠিকই কিন্তু উল্টোভাবে। ’

বাংলানিউজের নিউজ শেয়ার করে সিলেট রুটের যাত্রী ও মাহফুজ হামিদ লিখেছেন, ‘সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে পর্যটনের কথা বিবেচনায় নিয়ে একটা নতুন রেকের ট্রেন যদি করা হতো তাহলে ভালো হতো’।

 
একই রকম কথা আরও অনেকে বলেছেন। সিলেট-চট্টগ্রাম-সিলেট পথে উদয়ন ও পাহাড়িকা নামে যে দুটি ট্রেন চলে এগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। কোচ সংকট আর পুরাতন সিটের কারণে বেহাল দশা এই ট্রেনের। দীর্ঘদিন ধরে এই দুই ট্রেনের অবস্থা বদলের দাবি উঠলেও তা উপেক্ষিত রয়েছে। চট্টগ্রাম ও সিলেট রুটে চলাচলকারী এ দুই ট্রেন নিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের এমন অভিযোগে সরব স্যোশাল মিডিয়া।

গোলাম কিবরিয়া সিনজন নামে একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘পাহাড়িকার নাম তবু আসে না। লাল-সবুজ চাই না। অন্তত সাদা রেক দেওয়া হোক। সামনের ২৬ নভেম্বর শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা দিতে চট্টগ্রাম থেকে সিলেট যাব। আর তার জন্য মাত্র ২টা ট্রেন আছে উদয়ন ও পাহাড়িকা। চট্টগ্রাম স্টেশন ছাড়া অন্য কোথাও থেকে চেয়ার কোচ ও আর স্লিপার কেবিন টিকিট দেওয়া হয় না। চেয়ার কোচ ২টি , স্লিপার ২টি ও ১টি তাপানুকূল দিয়ে চলে এই ট্রেনটি। কেন এতো অবজ্ঞা এই ট্রেন দুটিকে? এখানে একটি সাদা রেক দেওয়া যায় না?’

তার এমন প্রশ্নের পর মন্তব্য জুড়ে দিয়েছেন আরও অনেকে। বলেছেন ‘রেলওয়েতে ঢাকা হাওয়া বইছে।
কেউ কেউ আরও বলেছেন, পাহাড়িকা উদয়নে যাত্রী ঠাসা থাকে। টিকিট পাওয়া যায় না। তারপর ট্রেনের অবস্থা খুব খারাপ। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ এ রুটের খবরও নেয় না। খুবই লাভজনক হতে পারতো সিলেট-চট্টগ্রামের ট্রেন। কিন্তু নতুন ট্রেন দেওয়ার খবর নেই। রেলওয়ে যেন ভুলেই গেছে পাহাড়িকা উদয়ন নামে কোনো ট্রেন আছে বাংলাদেশে।
 
এদিকে, রেল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহানগর প্রভাতি ও তূর্ণার কোচ দিয়ে সিলেটে উপবন ও জয়ন্তিকা চালানো হবে। আর লাল-সবুজ নতুন কোচ দিয়ে নতুন সাজে আসবে মহানগর প্রভাতি ও তূর্ণা।

তবে চট্টগ্রামের যাত্রীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শেষমেষ লোড না কমিয়ে কোচ অপরিবর্তিত রেখে লাল-সবুজ দুটি রেকই সিলেট রুটে দেওয়া হতে পারে। এক্ষেত্রে বর্তমান জয়ন্তিকা ও উপবন দিয়ে লোড বাড়িয়ে অবহেলার শিকার পাহাড়িকা ও উদয়নে নতুন গতি যোগ করা হতে পারে। কিন্তু সবকিছুই নির্ভর করছে রেল মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ওপর।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৬
এসএ/এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।