খুলনা থেকে: ‘মাস ট্যুরিজম নয়, সুন্দরবনে প্রয়োজন ইকো ট্যুরিজম। জীব-বৈচিত্র্য ধ্বংস করে সুন্দরবনে কোনো ট্যুরিজম আমরা উৎসাহিত করছি না।
‘সাধারণ মানুষ বোঝে না সুন্দরবনের সঙ্গে কিভাবে আচরণ করতে হবে, কিভাবে হরিণের সঙ্গে আচরণ করতে হবে। ইকো ট্যুরিজমের নীতিমালা সাধারণ মানুষ বোঝে না। সুন্দরবন ভ্রমণের ক্ষেত্রে তাদের সচেতন করেই বনে নিতে হবে। সাধারণ পর্যটকদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন প্রোগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি। ’
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ বুধবার (১৬ নভেম্বর) বাংলানিউজের সঙ্গে সুন্দরবনে পর্যটন বিষয়ে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, লাখ লাখ পর্যটকের আগমনে সুন্দরবনের ক্ষতি হতে পারে। তবে সিলেক্টেড পর্যটক সুন্দরবনে যেতে পারেন। জীব-বৈচিত্র্য ধ্বংস করে সুন্দরবনে কোনো পর্যটন নয়। ইকো ফ্রেন্ডলি ট্যুরিজমের ব্যবস্থা করতে হবে। সুন্দরবনে পর্যটন বিষয়ে গাইড লাইন আমরা তৈরি করেছি। তার প্র্যাকটিসও আমরা করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, সুন্দরবন ট্যুরিজম ঠিক আছে, থাকবে। কিন্তু ট্যুরিজমের আরেকটি দিক আছে হেরিটেজ ট্যুরিজম। এদিকে মানুষকে উৎসাহিত করতে হবে।
তিনি জানান, কুষ্টিয়ার শিয়ালদহের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি, লালন শাহর মাজার, কুমারখালীতে বাউল সঙ্গীতের অন্যতম পথিকৃৎ কাঙ্গাল হরিনাথের কুঠি, মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা, মেহেরপুরের আমঝুপি নীলকুঠি, মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ, চুয়াডাঙ্গায় কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত আটচালা ঘর, ডিসি ইকোপার্ক বিষয়ে প্যাকেজ প্রোগ্রামের জন্য একবছর আগেই মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।
আবদুস সামাদ বলেন, সাতক্ষীরায় সুন্দরবনের পাদদেশে আকাশলীনা নামে একটি ইকো ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। যাতে মানুষ বিভিন্ন উৎসবে সেখানে যেতে পারেন।
নৌ ট্যুরিজম যারা করেন তাদের কোনো ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়নি বলেও জানান তিনি।
বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে তাদের সঙ্গে নরম ও ভাল ব্যবহার করতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সুন্দরবনে নিরাপত্তা বিষয়ে তিনি বলেন, সুন্দরবন পর্যটনে এখন আর নিরাপত্তার কোনো অভাব নেই। জলদস্যু-বনদস্যু কমে গেছে। কোস্টগার্ড, নেভি সেখানে কাজ করছে। তবে এসব বাহিনীতে ফোর্স বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০২১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৬
এমআই/এসআর